ঢাকা: হেফাজতের ৫ নেতার সঙ্গে বৈঠক করে বিনএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শাপলা চত্বরের উন্মত্ততা সামনে আনতে চাইছেন বলে অভিযোগ করেছে সহস্র নাগরিক কমিটি।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে শাহবাগে অবস্থিত কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কমিটির সদস্যরা।
নির্বাচনকে সামনে রেখে খালেদা জিয়ার ভূমিকা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন কি-না, এ বিষয়ে কমিশনের কাছে ব্যাখাও চান তারা।
অন্যদিকে নির্বাচনী পরিবেশ ‘অত্যন্ত সুষ্ঠু’ রয়েছে দাবি করে এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী বা সিসি টিভির দরকার নেই বলেও মত দেয় কমিটি।
ভোট কেন্দ্রের ভেতর সিসিটিভি থাকলে ভোটারের গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হতে পারে বলে মনে করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সদস্য সচিব গোলাম কুদ্দুস বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির চেয়ারপারসন শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) রাতে হেফাজতের ৫ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের উন্মত্ততা আমরা ভুলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু খালেদা জিয়া তা সামনে নিয়ে এলেন।
তিনি আরও বলেন, হেফাজত একটি ধর্ম প্রচারের সংগঠন। রাজনৈতিক দল নয়। নির্বাচনের আগে এই ধরনের একটি সংগঠনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক কিসের ইঙ্গিত তা আমরা জানতে চাই।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসারে ধর্ম ও ধর্মীয় স্থান ব্যবহার না করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাই। আমরা নগরবাসীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, আমরা হেফাজতের সেই উন্মত্ততার পথে ফেরার ফাঁদে পা দিবো কি-না।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে, প্রকাশ্যে জনসভা করে প্রার্থীর পক্ষে প্রচার করা যাবে না। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের নামে হাজার হাজার লোকের সমাবেশে খালেদা জিয়া দুই মেয়রপ্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন। এটি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কি-না, এটি আমাদের প্রশ্ন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতা হান্নান শাহসহ অনেকে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি করেছেন। এক কোটি মানুষের এই নগরীতে এত চমৎকার পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী অভিযোগ করেননি। এই পরিবেশে সেনাবাহিনী মোতায়েনের যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সহস্র নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ শামসুল হক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাজমা শাহিন বক্তব্য রাখেন।
সকল বক্তাই তাদের বক্তব্যে নিজেদের সমর্থিত এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের তিন প্রার্থী ঢাকা উত্তরের আনিসুল হক, দক্ষিণের সাঈদ খোকন এবং চট্টগ্রামের আজম নাছির উদ্দিনকে জয়ী করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৫
এসএ/এমজেএফ/