ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন

পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে জনগণের আকাঙ্ক্ষার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়।



গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, ফিরোজ আহমেদ, আবুল হাসান রুবেল, তাসলিমা আখ্‌তার, বাচ্চু ভূঁইয়া, মনিরউদ্দীন, আবু বকর রিপন, শ্যামলী শীল, আরিফুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেত‍ারা।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে জোনায়েদ সাকি বলেন, গণতন্ত্রকে উন্নয়নের বিরোধী হিসেবে দেখিয়ে বর্তমান সরকার কার্যত দেশকে একটি জবাবদিহিতাহীন লুণ্ঠনের রাজত্বে পর্যবসিত করেছে। অন্যদিকে একই রকম সন্ত্রাস-লুণ্ঠন ও স্বৈরতন্ত্রের রাজনীতি করা বিএনপি-জামাত জোটকেও জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশে একটি উৎপাদনমুখী, জবাবদিহিতা সম্পন্ন এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দেশের স্বার্থ রক্ষার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে গণসংহতি আন্দোলন তার ভূমিকা পালন করবে।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে আজ্ঞাবহ হিসেবে উল্লেখ করে অন্যান্য নেতারা বলেন, সংবিধানের ব্যক্তিকেন্দ্রিক আইন বদল করে এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা করে বর্তমান সঙ্কট নিরসন সম্ভব।

সংবাদ সম্মেলন শেষে জোনায়েদ সাকি গণসংহতি আন্দোলনের সদস্যপদ পূরণ করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দসহ উপস্থিত বিভিন্ন শাখার নেতা-কর্মী ও সদস্যরা সদস্যপদ পূরণ করেন। ধারাবাহিকভাবে সকল আঞ্চলিক শাখাতেও এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর তৃতীয় জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক শক্তির নেতৃত্বশীল দল হিসেবে ‘গণসংহতি আন্দোলন’ একটি রাজনৈতিক দল আকারে আত্মপ্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

২০০২ সালের ২৯ আগস্ট গণসংহতি আন্দোলন বেশ কয়েকটি গণসংগঠনকে সাথে নিয়ে একটি জাতীয় রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করে। এই গণসংগঠনগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতি, নারী সংহতি, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি, প্রতিবেশ আন্দোলন ও বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতি তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে লড়াই-সংগ্রামে নেতৃত্বমূলক সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
পিআর/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।