ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

পৌর নির্বাচন

‘প্রার্থিতা প্রত্যাহারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি জেলা আ’লীগ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৬
‘প্রার্থিতা প্রত্যাহারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি জেলা আ’লীগ’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: সদ্য সমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনে রাজশাহীর পুঠিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে জেলা কমিটি কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এ দাবি করেছেন পুঠিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী জিএম হিরা বাচ্চু।



সেই সঙ্গে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কাছে সার্বিক দিক বিবেচনা করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বাচ্চু বলেন, তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে কোনো পত্র দিয়ে কিংবা কোনো ফোরামে ডেকেও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বলেননি। তাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থন নিয়ে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

জিএম হিরা বাচ্চু দাবি করেন, নির্বাচনে তার বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার পেছনে সবচেয়ে ভূমিকা রেখেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ। বুদ্ধি ও পরামর্শের পাশাপাশি মনোনয়নপত্র কেনার টাকাও আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ তাকে দিয়েছিলেন। নির্বাচনের তিনদিন আগেও কেন্দ্র মনোনীত মেয়র প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবির প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে তাকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে মাঠে থাকতে অনুপ্রেরণা যোগান মাসুদ।

তবে নির্বাচনের আগের দিন গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ দারা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালেও শেষ মুহূর্তে তা মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান বাচ্চু।

জিএম হিরা বাচ্চু বলেন, পুঠিয়া পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় সমস্ত নেতাকর্মী আমার পক্ষে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। তৃণমূল, পৌর, থানা ও জেলা আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশের সমর্থন নিয়ে পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম সংগঠনকে আরো শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করার উদ্দেশ্যে নিয়ে। ওই সময় সংগঠন থেকে কেউ আমাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বলেননি। সবাই সমর্থন জুগিয়েছেন।

যে কারণে পুঠিয়া পৌর নির্বাচনে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতাকর্মীর সমর্থিত প্রার্থী। তাই নিজেকে কখনও বিদ্রোহী প্রার্থী মনে করেননি সাময়িক বহিষ্কার হওয়া এই নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবলীগের শিক্ষা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, পুঠিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী মুরাদ, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শাহজাহান ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তবে এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ফারুক হোসেন ডাবলু বলেন, দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ঠেকাতে জিএম হিরা বাচ্চু মিথ্যাচার চালাচ্ছেন। তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে তাকে বেশ কয়েকবার মেসেজ দেওয়া হয়েছে।

সেইসঙ্গে গত বছরের ০৬ ডিসেম্বর রাজশাহী মহানগরীর কুকিজার রেস্টুরেন্টের সভাকক্ষে জিএম হিরা বাচ্চুসহ সব বিদ্রোহী প্রার্থীকে নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বৈঠকে করেন। সেখানে বাচ্চুকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তিনি তা মেনে নেননি এবং পুঠিয়া পৌরসভায় দলের মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। ফলে কেন্দ্র থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
এসএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।