ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘নৌকা-ধানের শীষের লড়াই না হলে মজা লাগে না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
‘নৌকা-ধানের শীষের লড়াই না হলে মজা লাগে না’ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম/ফাইল ফটো

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আমরা চাই, বিএনপি দুর্বলতা কাটিয়ে উঠুক। কারণ নৌকা-ধানের শীষের লড়াই না হলে মজা লাগে না।

আমরা চাই, লড়াই হোক। ২০১৯ সালে নৌকা-ধানের শীষ লড়াইয়ে বিএনপি পরাজিত হোক- সেটাই দেখতে চাই।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার ৭৪তম জন্মদিন ও ড. এম ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং গুণীজনদের পদক প্রদান-২০১৬ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ড. এম ওয়াজেদ আলী মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে নাসিম বলেন, ৬৮ বছর পর আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে গেছে- একথা বলেন কী করে! আওয়ামী লীগ কি দেউলিয়া হওয়ার দল? যে দল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বে দিয়েছে। বিএনপিই বরং দেউলিয়া হওয়ার পথে। আপনার নেত্রীর ভুলের কারণেই বিএনপি দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়া লীগের কোনো বিচ্যুতি ঘটেনি। আমরা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছি, শোষণমুক্ত দেশ গড়তে চাই। জঙ্গি হামলা বন্ধ করেছি। তাই বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শান্তির দ্বীপের মতো। বিএনপির আদর্শ কী? লক্ষ্য কী? আপনারা এখনও জামায়াতকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। আপনাদের দলের ভেতরে এখনও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প বিরাজ করছে। আপনার যখন ক্ষমতায় ছিলেন, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছিলো, আমরা তা ভেঙে আন্দোলন করেছি। ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা হামলা হয়েছিলো, তার বিচার করেননি। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় জর্জ মিয়া নাটক সাজিয়েছিলেন। তাই যখন সমালোচনা করবেন আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে নেবেন।

আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ কে এম ফরহাদুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জুলকার নাইন, ওয়াজেদ মিয়ার বাল্যবন্ধু মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ৫ গুণীজনকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। এরা হলেন- সাংবাদিকতায় ভারতের সাংবাদিক আম্বর মুখার্জী, সমাজসেবায় সাবেক সচিব শেখ মো. ওয়াহিদুজ্জামান, বিজ্ঞান ও গবেষণায় নেপালের বিজ্ঞানী ড. অমর দ্বীপ চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য নন্দদুলাল গোস্বামী, সাহিত্যে ড. মো. জায়েদ হোসেন।  

বক্তারা বলেন, ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন নির্লোভ মানুষ। ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থেকেও তিনি নির্লোভ থেকেছেন। তিনি নেপথ্যে থেকে শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনায় সহযোগিতা করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
ইইউ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।