ঢাকা, রবিবার, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

নাইকো দুর্নীতি মামলা

প্রথমে জামিন বাতিল, পরে পুনর্বহাল খালেদার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৬
প্রথমে জামিন বাতিল, পরে পুনর্বহাল খালেদার

ঢাকা: নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে অনুপস্থিত প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে পরে তার আইনজীবীর আবেদনে পুনর্বহাল করেছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলাটির অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি ফের পিছিয়ে আগামী ১০ আগস্ট পুনর্নির্ধারণ করেছেন।

ঢাকার বিশেষ জজ-৯ আমিনুল ইসলামের আদালতে সোমবার (১১ জুলাই) অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে আদালতে অনুপস্থিত থেকে তার আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন জানান খালেদা।

এ সময় খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে দেন আদালত। পরে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন জানালে জামিন পুনর্বহাল করা হয়।

দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।

এর আগেও গত ১২ এপ্রিল ও ৭ জুন সময়ের আবেদন জানিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে নেন খালেদাসহ অন্য আসামিরা।  

এ মামলার ১১ আসামির মধ্যে জামিনে থাকা অন্য ৯ জন হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্স্’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন এবং ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া।

কারাগারে আটক ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন।

২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।

অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গত বছর পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৫
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।