চট্রগ্রাম: আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন(সিসিসি) নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিধি অনুযায়ী বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় থেমে গেছে সব ধরণের প্রচার।
আজ বুধবার তিনি তার বাসভবনে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি-কে বলেন ‘ওপরে আল্লাহ আছেন, হায়াত- মউত, মান -সম্মান সব তারই হাতে। ’
বিরামহীন নির্বাচনী প্রচারের পর আজকের দিনটা নিজের মতো করে কাটাচ্ছেন বিএনপি সমর্থিত এ প্রাথী। প্রচারে ব্যস্ত থাকায় প্রায় ১মাস পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয় পরিজনকে সময় দিতে পারেননি। আজ তাই উত্তর কাট্টলীর নিজ বাসভবনে পরিবার, এলাকাবাসী ও বাসায় আসা সুহৃদদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে দিন কাটাচ্ছেন মনজুর আলম। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের ভয়ে দুপুর পর্যন্ত কোথাও যাননি তিনি।
ভোট অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ মুহুর্তে সম্প্রতি হারানো মাকেই বেশি অনুভব করছেন তিনি। এর আগে কাউন্সিলর নির্বাচনের সময় প্রতিবারই মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতেন। কাল সকাল ৯টায় উত্তর কাট্টলীর আবু দাউদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার ভোট দেওয়ার কথা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মা’ না থাকলেও এবারও মাকে মাতিয়েই (মায়ের কবর জিয়ারত করে) ভোট কেন্দ্রে যাবো। মা না থাকায় পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা কেউ টেলিফোনে খোজ-খবর নিচ্ছেন, কেউবা সরাসরি দেখা করছেন। সবাইকে দোয়া করতে বলেছি।
কর্মী সমর্থকেরা ফোন করে প্রশাসনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও তিনি তাদের অভয় দিয়ে বলছেন, জনগণ তার পে আছে। প্রশাসন কিছু করতে পারবে না।
আজ সকালে মা-বাবার কবর জিয়ারত করেছেন তিনি। বাসায় বসেই খোঁজ নিচ্ছেন নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয়ে। এরই ফাঁকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে।
এ প্রসঙ্গে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি-কে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো কারচুপির চেষ্টা সরকার করবে বলে মনে হয় না। নির্বাচনে হস্তপে করা হলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে’।
উল্লেখ্য, এবারই প্রথম মেয়র নির্বাচনে লড়ছেন মনজুর আলম। এর আগে একাধারে ১৭ বছর সিসিসির কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। মেয়র প্রার্থী এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর একান্ত আস্থাভাজন হিসেবে ৮ বার তিনি ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশের স্থানীয় সময়: ১৭৪০ঘণ্টা, জুন ১৬’ ২০১০ইং
এইচএস/এনএস/জেএম