ঢাকা: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে পুলিশের সহযোগিতায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগে করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া।
চট্টগ্রাম সিটি করাপোরেশন নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মিডিয়ার মাধ্যমে অবহিত করতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম মিয়া দাবি করেন, “পুলিশ সুপার মোরশেদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থী মনজুর আলমের এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোটারদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করেছে। ”
এ সময় তিনি কেতোয়ালী, বায়েজিদ বোস্তামী, ফতেয়াবাদ ও ডাবল মুরিং থানার ৫টি কেন্দ্রে এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
অবশ্য এর আগে সকালে ভোট দিতে গিয়ে স্বয়ং মেয়র পদপ্রার্থী মনজুর নির্বাচন হচ্ছে শান্তিপূণ এবং তেমন কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছিলেন।
ব্যারিস্টার রফিক অভিযোগ করেন, “যেসব এলাকায় বিএনপির ভোটার বেশি সেসব এলাকাতে পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। ”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জেলার সর্বোচ্চ পুলিশ কর্মকর্তা যেখানে সরকার দলীয় ক্যাডারদের মতো আচরণ করছেন সেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট আশা করা যায় না। ”
পুলিশ সুপার মোরশেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে।
সিসিসির ৪১টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৬।
বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত মনজুর এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগিরক কমিটির এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ মোট আটজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১০
এজেড/কেএল/জেএম