ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘জিয়ার কবর না থাকলে স্থাপনাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া দরকার’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
‘জিয়ার কবর না থাকলে স্থাপনাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া দরকার’ ছবি ও ভিডিও: জিএম মুজিবুর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর না থাকলে ওই স্থাপনাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

ঢাকা: চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর না থাকলে ওই স্থাপনাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্ল‍াবের হলরুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ।
 
হাছান মাহমুদ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই স্থানে কবর আছে কিনা, তা শনাক্তের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান।
 
তিনি বলেন, জাতির প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে সেখানে আসলে জিয়াউর রহমানের কবর আছে কিনা? সেখানে প্রকৃতপক্ষে জিয়াউর রহমানের কবর আছে কিনা, সেটি খুঁজে বের করা দরকার।
 
“যদি সেখানে জিয়াউর রহমানের কবর না থাকে অবশ্যই সেটা বুলডজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। আর কবর না থাকলে প্রতারণারও বিচার চেয়েছেন হাছান মাহমুদ। ”
 
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন হাছান মাহমুদ।
 
তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে বিএনপির প্রার্থী এবং তাদের নেতাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে বিএনপি আসলে নির্বাচনে জয়লাভের উদ্দেশ্যে অংশ নেয়নি।
“সেলিনা হায়াত আইভী এতোদিন ধরে যে কাজ কর্ম করেছেন তাতে তিনি অবশ্যই জয়লাভ করবেন। ১৪ দলও আইভীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের প্রার্থীর জয়লাভের কোনো সম্ভাবনা নাই। … তাদের (বিএনপি) নির্বাচনের অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই তারা অংশ নিয়েছে। সেই কারণে তারা গত কয়েকদিন দিন ধরে নানা কথা বলে যাচ্ছে। ”
 
আওয়ামী লীগের কোনো নেতা, সংসদ সদস্য বা এমপি সেখানে যেতে পারছেন না বলেও মন্তব্য করেন মাহমুদ।
 
আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস সম্ভব নয় মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, নতুন প্রজন্ম জানে না ১৯৪৭ পর থেকে দীর্ঘ ৯ বছর পাকিস্তানের সংবিধান ছাড়াই চলছিল। তারপর সোহরাওয়ার্দীর হাত ধরে পাকিস্তানের সংবিধান রচিত হয়েছে। তিনি দেশের গর্ব।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা হাসিবুর রহমার মানিক, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এমআইএইচ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।