ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘জিয়ার মাজারে হাত দিলে কেউ বসে থাকবে না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৬
‘জিয়ার মাজারে হাত দিলে কেউ বসে থাকবে না’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে হাত দিলে কেউ বসে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

ঢাকা: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে হাত দিলে কেউ বসে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
 
বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন-বাংলাদেশ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 
 
৬ ডিসেম্বর ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্ত দিবস’ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
 
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রামের জনগণ জিয়াউর রহমানের মরদেহ পাহাড়ের জঙ্গল থেকে খুঁজে বের করে ঢাকায় পাঠিয়েছিল। সেদিন সারা দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ পায়ে হেঁটে ঢাকায় এসে জিয়াউর রহমানের জানাজায় শরিক হয়েছিল।  
 
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার প্রিয় ভাইকে (হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ) জিজ্ঞেস করেন, তার কাঁধে বহন করে কার মরদেহ ওখানে (জিয়ার মাজার) দাফন করা হয়েছিল?
 
জিয়ার মাজারে হাত দিলে আগুনে হাত দেওয়া হবে মন্তব্য করে ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, মরদেহের উপর হস্তক্ষেপ করবেন? মাজার তুলে দেবেন? মুখে বলেছেন-তাতে জনগণ ফুঁসে উঠেছে। মাজারে হাত দিলে কেউ বসে থাকবে না। ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে জনগণ দেশের অন্য মাজারগুলোতেও হাত দেবে।
 
স্বৈরাচার পতন দিবস পালন না করায় সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় তারা এই দিবস পালন করে না। এর সঙ্গত কারণ আছে। এরশাদ যখন ক্ষমতা দখল করে, তখন আজকের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আই অ্যাম নট আনহ্যাপি’।
 
দেশ ক্রান্তিকাল অতিক্রমক করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আজ দুই স্বৈরাচার মিলে দেশে ‘ফ্যাসিবাদ’ কায়েম করেছে। এ কারণে দেশে রাজনৈতিক সংকট চলছে, ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।  
 
স্বৈরাচার হঠানোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিবাদ তাড়াতে হবে মন্তব্য করে মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণ যেদিন মাঠে নামবে সেদিন কোনো ফ্যাসিবাদ টিকে থাকতে পারবে না। আমাদের পুরোনো অভিজ্ঞতা কাজে লাগতে হবে।  
 
কিন্তু আমরা এখনো চাই না, অতীতের মতো গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে সবাইকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে।  
 
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এজেড/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।