ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ডিভিএম নিয়ে শঙ্কিত ফখরুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
ডিভিএম নিয়ে শঙ্কিত ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: বাদল-বাংলানিউজ

ঢাকা: ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পরিবর্তে ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জিয়া পরিষদের প্রতিনিধি সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে এ শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
 
এর আগে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, আগের ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) দুর্বলতা ছিল।

এখন আরো উন্নত মানের মেশিন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন এই যন্ত্রের নাম ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম)। এটা কেউ হ্যাক করতে পারবে না।
 
সিইসির এই বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ডিজিটাল ভোটিংয়ে আমেরিকার মতো একটি দেশের ভোট হাইজ্যাক করে নিয়ে যায় রাশিয়া। এখন উনারা (সিইসি) ডিজিটাল ভোট করবেন। অর্থাৎ আওয়ামী লীগকে চিরদিন ক্ষমতায় রাখার জন্য যা যা করা দরকার উনারা তা করবেন।
 
‘পাঁচ বছর নির্বাচন কমিশন খুব সফল হয়েছে’ বিদায়ী সিইসির এ বক্তব্য জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সফলতার বিবরণ আপনারা (দেশবাসী) খুব ভালো করে জানেন।
 
২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারি নির্বাচনে ১৫৩জন বিনাভোটে নির্বাচিত-এখানে নির্বাচন কমিশন সফল! ৫ ভাগ ভোটকে ৪০ ভাগ করেছেন-সফল, উপজেলা নির্বাচনের ৫ ধাপের মধ্যে শেষ তিনটি ধাপ দখল- সফল! পৌরসভা নির্বাচন দখল- সফল! ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দখল-সফল; অবশ্যই সফল! সর্বশেষ নাসিক নির্বাচনে অত্যন্ত সুক্ষ, নতুন কৌশলে সফল!
 
জিয়া পরিষদের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের কেউ করে দিয়ে যাবে না। দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য বাইরে থেকে কাউকে হায়ার করে আনবে না কেউ। আমাদেরই দাঁড়াতে হবে।
 
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে দিলেন, এটি অন্ত:সারশূন্য। অর্থমন্ত্রীর ভাষায়-‘ভোগাস’!
 
কিন্তু রাষ্ট্রপতি এটাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নিলেন। তিনি মনে করলেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন খালেদা জিয়া। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে  আলোচনা শুরু করলেন। বিএনপিকে ডাকলেন সবার আগে। তিনি বললেন, আপনারা যেটা দিয়েছেন, এটা অত্যন্ত সময় উপযোগী হয়েছে।   
 
মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক কথা হচ্ছে সার্চ কমিটি নিয়ে। রাষ্ট্রপতি এখনো সার্চ কমিটি ঘোষণা করেন নি। আমরা বার বার বলেছি, ইতিবাচক রাজনীতি করি। আমরা নেগেটিভ রাজনীতি করতে চাই না। প্রথমেই এটাকে নেগেটিভ ধরে নিয়ে নাকচ করতে চাই না।
 
আমরা বিশ্বাস করি জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে, বাংলাদেশের মানুষের চোখের ভাষা বুঝে রাষ্ট্রপতি এমন একটি সার্চ কমিটি গঠন করবেন, যে সার্চ কমিটি অবশ্যই নিরপেক্ষ হবে, যোগ্য হবে এবং সঠিক নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সক্ষম হবে।
 
জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী মুরাদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ।
 
এর আগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশন চত্বরে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
 
প্রতিনিধি সম্মেলনে ৫৪টি সাংগঠনিক জেলা ও ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদ’র নেতা-কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
এজেড/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।