ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচনকালীন সরকার

সংবিধানের বাইরে যাবে না আ’লীগ

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
সংবিধানের বাইরে যাবে না আ’লীগ

ঢাকা: আগামী নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি’র প্রস্তাব যাই হোক না কেন- সংবিধানের বাইরে যাবে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের যে বিধি রয়েছে সে অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গুঞ্জন উঠেছে আগামী নির্বাচনে বিএনপি একটি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের কথা চিন্তা করছে। সূত্র জানাচ্ছে, শিগগির এ ধরনের একটি প্রস্তাব দেবে বিএনপি।

তবে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে না।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সংবিধানের বাইরে কিছুই হবে না। এখন এই আলোচনা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক। সংবিধানে যেটা বলা আছে সেটাই হবে।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপি’র প্রস্তাব আমরা বড় করে দেখি না। সংবিধানই আমাদের গাইড লাইন, সেখানে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা সংবিধানে সন্নিবেশিত আছে।

সংবিধানে ১৫তম সংশোধনী এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন পদ্ধতি বাতিল করার পরে পুনর্বহাল করা হয়নি। ওই সংসদে বিএনপি বিরোধী দল হিসেবে থাকলেও সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি। সংবিধান সংশোধন কমিটিতে বিএনপি’র প্রতিনিধি চাওয়া হলেও তারা কাউকে পাঠায়নি। তার বহাল বিধান অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন দল বর্তমান সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, বলছেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।

তারা বলেন, সে অনুযায়ী গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ওই নির্বাচনে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী কয়েকটি দলের প্রতিনিধিদের নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রীসভায় নেওয়া হয়। তাতে বিএনপিকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি, নির্বাচন বর্জন করে দলটি।

বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের যে পদ্ধতি চালু হয়েছে তাই থাকবে। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীই (শেখ হাসিনা) নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হবেন এবং সেই সরকার নির্ধারিত কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সংসদীয় গণতন্ত্রের যে ধারা চালু হয়েছে সেটা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ ছাড় দেবে না।

এ বিষয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, সংবিধানে সংশোধন আনা হয়েছে ২০০৯ এর দশম সংসদে। ওই সংসদে বিএনপি ছিলো। ২০১৪ সালের দশম সংসদে কিছুই হয়নি। যখন সংবিধান সংশোধন হয়েছে তখন তারা সংসদে থেকে কিছু বলেনি, এখন উর্বর মস্তিষ্ক থেকে যা খুশি বললে তো আর হবে না!

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু বাংলানিউজকে বলেন, সংবিধান সংশোধনের সময় বিএনপিকে আহ্বান জানানো হয়েছিলো। তারা কমিটিতে থাকেনি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সংবিধানের ১১৮ ও ১১৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে। ওই সময় নির্বাচনকালীন সরকার সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইসিকে সহয়তা করবে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, কোনো প্রস্তাব বা কোনো বিষয় নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান সম্মতভাবে। সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকার কথা সেই সরকারই থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
এসকে/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।