ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদার দুই দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
খালেদার দুই দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।

প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে তার আইনজীবীদের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালত।

বৃহস্পতিবার চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়ার ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত লিখিত বক্তব্য পাঠ এবং অরফানেজ মামলায় সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।

তবে তার অনুপস্থিতিতে সময়ের আবেদন জানান খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, এ জে মোহাম্মদ আলী, আব্দুর রেজাক খান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জয়নুল আবেদীন, সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার। এর বিরোধিতা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

সময়ের আবেদনে খালেদার অসুস্থতা ও এ আদালত পরিবর্তনে উচ্চ আদালতে করা তার আবেদন শুনানির অপেক্ষায় থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।  

গত ০২ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির দুই মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা এবং অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার পুনঃতদন্ত চেয়ে খালেদা জিয়ার করা দু’টি আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। এরপর আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তিনি, যে আবেদন বিচারাধীন।

এরপর অরফানেজ মামলার আসামি শরফুদ্দিন আহমেদের আইনজীবী রেজাউল করিম সরকার এ মামলার দুই সাক্ষীকে ফের জেরার আবেদন জানালে সেটিও মঞ্জুর করে ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।

২০০৮ সালের ০৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।

ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

অন্যদিকে ২০১০ সালের ০৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করে দুদক। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

চ্যারিটেবল মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ঢাকা তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের আগের বিচারক বাসুদেব রায়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।