ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘আওয়ামী লীগে কোনো পরগাছাদের ঠাঁই হবে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
‘আওয়ামী লীগে কোনো পরগাছাদের ঠাঁই হবে না’ বিভাগীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ওবায়দুল কাদের

রাজশাহী: আওয়ামী লীগে কোনো পরগাছাদের ঠাঁই হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।  

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।


ওবায়দুল কাদের বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে দল ভারী করার প্রয়োজন নেই, ওরা বসন্তের কোকিল।

বসন্ত এলে তারা আসে। আর বসন্ত চলে গেলে তারাও চলে যায়। তাই আওয়ামীলীগে পরগাছাদের ঠাঁই হবে না'।


যে নেতারা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে দল ভারী করেছেন তাদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন,  দল থেকে অনুপ্রবেশকারীদের সরান। আওয়ামী লীগে কোনো গডফাদারদের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন জনপ্রিয়, সৎ ও নির্ভিক নেতাকর্মীর’।
 
`আপনারা কেউ পকেট কমিটি করবেন না। ত্যাগী নেতাদের দলে স্থান দেন। কর্মীবান্ধব নেতা হোন। কর্মীদের মূল্যায়ন করুন। তারা কি চায় সেই দিকে খেলায় করেন। কর্মীদের চোখের ভাষা, মনের ভাষা আপনাদের বুঝতে হবে। যদি না বোঝেন তাহলে রাজনীতি করার দরকার নেই’।

তিনি বলেন- ‘মঞ্চের সামনে বসে থাকা সাধারণ কর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা মঞ্চে বসে থাকা নেতাদের নিয়ে। আমরা কর্মীদের ব্যবহার করি। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার পাহারাদার বানাই। কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কারো স্বার্থ রক্ষার পাহারাদার হবেন না। তাহলে ভালো নেতা পাবেন না। অপকর্ম করলে দলে ভালো লোক আসবে না। আর খারাপ লোক আমাদের দরকার নেই’।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সরকারের উন্নয়নে কেনো ঘাটতি নেই, ঘাটতি থাকলে নেতাদের আচরণে আছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব আচরণটা শুদ্ধ করে নিতে হবে। নির্বাচনের বেশি সময় নেই। এখন ক্ষমতায় আছেন, কেউ কিছু বলছে না। তবে আচরণ খারাপ হলে আগামী নির্বাচনে মানুষ ব্যালটে তার শাস্তি দিয়ে দেবে’।

সম্প্রতি সময়ে বিএনপির হুমকি-ধামকি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন- ‘বিএনপি এখন নিজেরাই নিজেদের শত্রু। তাদের নেতায় নেতায় মারামারি, হানাহানি, কোন্দল চলছে। তাই বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। আন্দোলন করার কোনো ক্ষমতা বিএনপির নেই’।

তিনি বলেন- ‘বিএনপি এখন নালিশবাদী দলে পরিণত হয়েছে। কোনো অর্জন নেই, ইতিহাস নেই, আন্দোলন নেই, প্রত্যেক দিন কেবল নালিশ আর নালিশ! তাই বলে ভোটের রাজনীতিতে তাদের ছোট করে দেখা যাবে না। কারণ আগামী নির্বাচনে বিএনপিই হবে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী’।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মী সমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি। পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সমাবেশে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন-  ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুল খালেক, রাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, আয়েন উদ্দিন, আবদুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
এসএস/বিএস   

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।