ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘৩ দিকেই বন্ধুরাষ্ট্র হলে প্রতিরক্ষার প্রশ্ন কেন?’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৭
‘৩ দিকেই বন্ধুরাষ্ট্র হলে প্রতিরক্ষার প্রশ্ন কেন?’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের আয়োজিত আলোচনা সভা/ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে প্রতিরক্ষা চুক্তির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়টি জানতে পেরেছি। যে দেশের তিন দিকে বন্ধুরাষ্ট্র সে দেশের প্রতিরক্ষার প্রশ্ন উঠবে কেন?

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ৭ মার্চ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১১তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ‘ভূলণ্ঠিত গণতন্ত্র, নিষ্পেষিত জনগণ, ভঙ্গুর অর্থনীতি’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম।

ড. মঈন খান বলেন, দেশের তিন দিকে ভারত, আর একদিকে সমুদ্র। যে দেশের সবদিকে বন্ধুরাষ্ট্র সে দেশের প্রতিরক্ষার প্রশ্ন উঠবে কেন? বন্ধুরা কেন আমাদের প্রতিরক্ষা দিতে উৎসুক হয়ে উঠেছেন? কেনইবা আমাদের সরকার প্রতিরক্ষার প্রয়োজনে এতো দুশ্চিন্তায়?

সরকারকে এ প্রশ্নের জবাব দেশের ১৬ কোটি মানুষকে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

‘সকলেই বন্ধু, কেউ শত্রু নয়’ দেশের এমন পররাষ্ট্রনীতির কথা উল্লেখ করে ড. মঈন খান বলেন, তাহলে এ প্রতিরক্ষার বিষয়টি কেন? ভারত কেন আমাদের ওপর এটি চাপিয়ে দিচ্ছে?

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, এখন রেজিস্ট্রেশন (বিএনপির নিবন্ধন) নিয়ে কথা উঠেছে। রাজনীতি মানুষের মৌলিক অধিকার। কেউ রাজনীতি করবে কি করবে না, তার সার্টিফিকেট লাগবে নাকি? অনেক বুদ্ধিজীবী বলছেন, বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে হবে রেজিস্ট্রেশন বাঁচাতেই। একটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে যেতে রেজিস্ট্রেশন কোনো কারণ হতে পারে না। অনেক দল আছে যারা রাজনীতি করে আনন্দ পায়, তারা নির্বাচনে যায় না। কারও ইচ্ছা হলে নির্বাচনে যাবে, নয়তো যাবে না। এখানে রেজিস্ট্রেশনের প্রশ্ন আসছে কেন?

এ থেকে পরিষ্কার, ক্ষমতাসীনরা নির্বাচনে যান ক্ষমতায় গিয়ে অর্থ-বিত্ত করে বিলাসী জীবন যাপনের জন্য। বলেন ড. মঈন খান।

আলোচনা সভার প্রধান আলোচক বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার জন্য নাকি ৫০ কোটি ডলার খরচ করবে ভারত। স্বাধীন একটি দেশের নিরাপত্তা কেন ভারতের ওপর নির্ভর হবে?

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দয়া করে দেশের নিরাপত্তা অন্যের হাতে তুলে দেবেন না। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রে দেওয়া-নেওয়া হতে পারে। কিন্তু ভারতের ইচ্ছানুযায়ী প্রতিরক্ষা সাজালে স্বাধীনতা থাকবে না।

রিজভী বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষা স্বার্থকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সত্যিকারের স্বাধীনতা নষ্ট হবে। কিন্তু ভোটারবিহীন সরকার প্রভুদের সন্তুষ্ট করতে সবই করতে পারে। যা জনগণ কোনোদিনই মানবে না।

হৃদয় খুলে বন্ধুত্ব হবে, কিন্তু দেশের এক ইঞ্চি মাটিও ছাড় দেওয়া হবে না। বলেন রিজভী।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, সাদেক খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৭
পিএম/ওএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।