চট্টগ্রাম: সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখ্যান না করলেও ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের’(অনিয়মের) অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। নগরীর চশমাহিলে নিজ বাসভবনে আজ দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।
মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম মনজুর আলমের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর লিফলেট ছাপানো হয়। বিভিন্ন স্থানে ছড়ানো হয় কোটি কোটি টাকা।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর অভিযোগ, এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেও তিনি কোনো প্রতিকার পাননি।
তিনি আরো বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ চুরির দায়ে মনজুর আলমকে জরিমানা করা হয়েছিল। মনোনয়নপত্রের হলফনামায় মনজুর আলম এ তথ্য গোপন করেছিলেন। অথচ অভিযোগ করার পরও কমিশন এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
উল্লেখ্য, মনজুর আলমকে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে ১৮ লাখ টাকা এবং গ্যাস চুরির অভিযোগে ৩২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে বলে অভিযোগ করেছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।
তিনি আরো বলেন, ‘ফল ঘোষণার সময় বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র কর্মীরা বিক্ষোভ, যানবাহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করাসহ বিভিন্নভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। ’
এসব ঘটনার তদন্ত ও বিচারের পরই কেবল নির্বাচনের ফল গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখ্যান সম্পর্কে মন্তব্য করবেন বলে জানান তিনি ।
নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও নেতারা তার পক্ষে কাজ করেননি বলেও অভিযোগ করেন সিসিসি নির্বাচনে পরাজিত এ মেয়র প্রার্থী।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মহিউদ্দিন চৌধুরী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলমের কাছে ৯৫ হাজার ৫২৮ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান।
বাংলাদেশ সময় ১৫৪০ ঘণ্টা, ১৮ জুন ২০১০
আরডিজি/এএইচএস /জেএম