সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে সংবাদ সম্মেলন করে এই প্রতিশ্রুতিসহ ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ইশতেহার ঘোষণা করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
ইশতেহারে বলা হয়, নির্বাচনে জিতলে সব নাগরিকের কল্যাণে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে পরিবর্তন আনা হবে। পরিবর্তন আসবে বিদুৎ ও জ্বালানি, প্রবাসীকল্যাণ, নিরাপদ সড়ক ও পরিবহন, প্রতিরক্ষা ও পুলিশ, পররাষ্ট্রনীতি ও জলবায়ু মোকাবেলা নীতিতেও।
এছাড়া, পরপর দুই মেয়াদের বেশি একজন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না এবং পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা থাকবে না বলেও উল্লেখ করা হয় ঐক্যফ্যন্টের ইশতেহারে।
বিএনপি-গণফোরাম-জেএসডি-নাগরিক ঐক্য-কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, তারা ক্ষমতায় এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি অাসম অাব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
টিএম/এইচএ/