তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন করছি সন্ত্রাস দূর করা, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং আমাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য।
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও যাওয়ার পথে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২৯ মাইল এলাকায় পথসভায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে সরকার যতোই চেষ্টা করুক পুলিশ প্রশাসন দিয়ে জনগণকে ভয় দেখিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার আশা পূরণ হবে না। ৩০ তারিখ মানুষ ধানের শীষে ভোট দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ভাইদের বলতে চাই- দয়া করে সন্ত্রাস করবেন না, সন্ত্রাসের পরিণতি ভালো হয় না। নির্বাচন একদিন হয়, তারপর নির্বাচন হতে পাঁচ বছর লাগে। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাইকে একসঙ্গে বসবাস করতে হয়। তিনি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের ঘটনাগুলো পরিহার করে ভাই ভাইয়ের মতো থেকে সত্যকে সাধন করুন।
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনকে বলব একতরফা থাকবেন না, একতরফা থাকলে তার পরিণতি ভালো হয় না।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, যদি আপনারা মনে করেন বিএনপিকে ভোট দেওয়া উচিত, জোটকে ভোট দেওয়া উচিত, ঐক্যফ্রন্টকে ভোট দেওয়া উচিত তাহলে আপনারা ধানের শীষে ভোট দেবেন। কারণ আজকে সমস্ত দলগুলো এক হয়েছি ২০ দল, ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি। আমাদের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, আ স ম আব্দুর রব , মাহমুদুর রহমান মান্না রয়েছেন। আমরা ২০দলও আছি। সবাই মিলে আজকে আমরা গণতন্ত্র উদ্ধার এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য কাজ করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
এসএইচ