রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকায় নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে ইশেতহার ঘোষণা করেন তিনি।
সিলেটকে মেগা সিটি করাসহ ২২ দফা ইশতেহারে পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, নগরী ও সদর উপজেলাবাসীর জীবনযাপনে জনজীবনে উন্নত বিশ্বের সুবিধা নিশ্চিত করা।
সিলেটের পর্যটনবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা। সড়ক, রেল ও নৌ-যোগাযোগকে সুগম এবং আধুনিকায়ন করে তোলা। যানজট নিরসনে লিংক রোড করা। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা।
সিলেটের তরুণ প্রজন্মের পেশাগত উৎকর্ষ সাধন ও কর্মসংস্থান করার লক্ষ্যে একটি ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার করা। জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট চালু করা।
সিলেটের নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি সংরক্ষণে সিলেট জাদুঘর স্থাপন করা।
মহাপরিকল্পনার মধ্যে সিলেটের অকৃষি জমি আবাদের আওতায় আনা। সিলেটে পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানা স্থাপন ও অভয়ারণ্য গড়ে তোলা। সিলেট সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা। অত্যাধুনিক মা ও শিশু হাসপাতাল করা।
সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক চারলেন করা। যা গত ১০ বছরেও হয়নি। নারীদের কর্মসংস্থান ও ভাসমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, পর্যটনসহ শিল্পখাতে প্রবাসীদের উদ্যোগী করা এবং আইনি সহায়তা দান এবং হয়রানি বন্ধ করা। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে রেশনিং ব্যবস্থা, চিকিৎসা, শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
ইশতেহারে এসব কর্মপরিকল্পনার পাশাপাশি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পদায়ন, মেধা ও যোগ্যতার মূল্যায়ন করা। তাছাড়া দুর্নীতিমুক্ত সম্প্রীতিমুক্ত সমাজ গঠনে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পক্ষপাতহীনভাবে নিশ্চিত করা।
এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সিলেটবাসীকে পাশে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
এনইউ/জেডএস