প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রোববার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
নজরুল ইসলাম খান লিখিত আবেদনে বলেন, সব জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ পর্যায়ে রাজধানী শহরসহ সব শহর, নির্বাচনী এলাকার উল্লেখ্যযোগ্য স্থানে জনসভা করা নির্বাচনী প্রচারণার অনিবার্য অংশ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
কিন্তু গত রাতে পুলিশ কমিশনারের পক্ষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর বিজভীকে ফোন করে জানানো হয় ২৪ ডিসেম্বরের পর ঢাকায় কোনো জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হবে না। পুলিশের এ সিদ্ধান্ত নির্বাচনী আইন আরপিও’র সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এবং আমাদের নির্বাচনী প্রচারণার যৌক্তিক ও আইনানুগ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার শামিল।
‘আমরা যাতে ২৭ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে পারি সে মর্মে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। ’
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এবং নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলা অব্যাহত রয়েছে। সকালে চট্টগ্রাম-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী কর্ণেল (অব.) বাহারকে পিটিয়ে আহত করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও বিএনপি নেতাকর্মীদেরই আটক করেছে। এটা দুঃখজনক ঘটনা।
নোয়াখালী-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী মো. শাহজাহান চর জব্বার এলাকায় গেলে আওয়ামী লীগ হামলা করে। আটক করা হয় বিএনপির প্রার্থীদেরই। এছাড়াও কুমিল্লার মুরাদনগর, নাঙ্গলকোট, দেবীদ্বার ও ফরিদপুরের সালথা থানা পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি গ্রেফতার করছে। এজন্য তাদের প্রত্যাহার দাবি করেছে ঐক্যফ্রন্ট।
সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সশস্ত্র বাহিনী মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও আস্থার প্রতীক। বিশ্বের বহু দেশে শান্তি স্থাপনে এবং শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সুনাম অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
ইইউডি/এএ