তিনি বলেন, জনগণ যেহেতু ঐক্যবদ্ধ হয়েছে—তারা পরিবর্তন চায়। আশা রাখি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গণবিরোধী শক্তিকে সহায়তার পথে হাঁটবে না।
বন্দুকের ভয় দেখাও, আসো সামনাসামনি: কামাল
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, আমরা সুষ্ঠু অবাধ নিবাচন চাই, যাতে আগামী ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষ ন্যায়বিচারসহ গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার ফিরে পায়, আমরা সেই ধরনের সরকার দেখতে চাই।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় মিছিল করেছি, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আজকের এই ডিসেম্বর মাসে আবার গণবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে বিজয় উদযাপন করব।
তিনি বলেন, জনগণ ক্ষমতার মালিক এটা সংবিধানে লেখা আছে। সেই মালিকানা তারা ভোগ করবে। জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করে, সেটা উপলব্ধি করতে পারলেই বুঝতে পারবেন, কেন আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, অতীতে সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা রেখে দায়িত্ব পালন করেছে। আশা করি, তারা অতীতের ঐতিহ্য রক্ষা করবে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনে অতীতের মতো ভূমিকা রাখবে।
যতই অত্যাচার-নির্যাতন করা হোক না কেন, ভোটের মাঠ থেকে সরে যাব না। শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠেই থাকবো, যোগ করেন ড. কামাল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে প্রহসন ও তামাশায় পরিণত করেছে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আশার কথা সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে কাজ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
টিএম/এমজেএফ