সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিকেল ৫টায় মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগ রাজশাহী-২ আসনের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশার নৌকা প্রতীকের পক্ষে এই নির্বাচনী সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে চলেছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে নৌকার বিজয় হলে উন্নয়নের যে মহাসড়কে আমরা উঠে গেছে, সেটা অব্যাহত থাকবে, দেশ এগিয়ে যাবে।
একদিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নৌকা প্রতীক, অন্যদিকে বিপক্ষের প্রতীক ধানের শীষ। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধী দল। এরইমধ্যে তাদের দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। এতোকিছুর পরও সেই দলের নেতাদের ধানের শীষের প্রতীক দিয়েছে বিএনপি। এজন্য তাদের ধিক্কার জানাই।
মেয়র আরো বলেন, রাজশাহীর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী এরইমধ্যে তিনটি শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমতি দিয়েছেন। রাজশাহীতে তো এখনো মেগা প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়নি। আপনারা আমাদের কাজ করার সুযোগ দিন। যখন কাজ শুরু হবে, দেখতে পাবেন, আপনারাই বলবেন ৩০ ডিসেম্বর নৌকায় ভোট দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
রাজশাহী-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, গত ৫ বছর রাজশাহীর উন্নয়ন থেমে ছিল। লিটন ভাই মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় রাজশাহীর থেমে থাকা উন্নয়নের চাকা সচল হয়েছে। রাজশাহীতে বিএনপির মেয়র ছিলেন বুলবুল, তিনি সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের বেতন দিতে পারেননি। তারা রাজশাহীর উন্নয়নে কোনো অবদান রাখতে পারবে না।
বাদশা আরো বলেন, বিএনপির যিনি প্রার্থী তিনি ছিলেন জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। মিনু (মেয়র) ছিলেন খালেদা জিয়ার কলাগাছ। তিনি রাজশাহীর উন্নয়ন করবেন কিভাবে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ থেকে রাজশাহীকে রক্ষা করতে হলে রাজনীতি থেকে মিনুকে চিরতরে বিদায় করতে হবে।
মহানগর শ্রমিকলীগ সভাপতি বদরুজ্জামান খায়েরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
এসএস/জেডএস