ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মন্ত্রিসভায় খুলনার যাদের আসা নিয়ে ‘গুঞ্জন’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৯
মন্ত্রিসভায় খুলনার যাদের আসা নিয়ে ‘গুঞ্জন’ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মন্নুজান সুফিয়ান, সালাহউদ্দিন জুয়েল ও আবদুস সালাম মুর্শেদী

খুলনা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর এরইমধ্যে শপথ নিয়েছেন নতুন এমপিরা। এবার পালা মন্ত্রিসভা গঠনের। আর সরকারের মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন তা নিয়ে রয়েছে নানা ‘গুঞ্জন’।

এবার মন্ত্রিসভার আকার বাড়তে পারে, আসতে পারে নতুন মুখও। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা জেলার ৬টি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

এর মধ্য থেকে চারজন মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন বলেও ‘গুঞ্জন’ রয়েছে।

এসব এমপিদের কর্মী-সমর্থকরাও তাদের ‘নেতাকে’ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে কার কার ভাগ্যে শেষতক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ‘পদবী’ জুটছে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘সুদৃষ্টি’ ও মন্ত্রিসভার আকারের উপর অনেকটা নির্ভর করছে। এজন্য আগামী সোমবার (০৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হবে খুলনাবাসীকে।

খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্য থেকে যারা মন্ত্রী পদে আলোচনায় আছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মুহাম্মদ ছায়েদুল হকের মৃত্যুর পর পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি (২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি প্রতিমন্ত্রী হন)। এর আগে তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনেও এমপি নির্বাচিত হন। আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) আসন থেকে টানা তৃতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শ্রমিক নেত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

এবারের নির্বাচনে খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিবহন ও শিপিং ব্যবসায় শেখ সালাহউদ্দিনের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ফার্দিন ফিশিং, আজমীর নেভিগেশন ও খুলনা শিপিং লাইন্সের স্বত্বাধিকারী, মধুমতি ব্যাংকের ভাইস-চেয়ারম্যান ও খুলনার নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের সাবেক সভাপতি। সংসদের নতুন মুখ হলেও তার কাছে জনগণের প্রত্যাশা বেশি হওয়ায় তাকে মন্ত্রিপরিষদে দেখতে চান এলাকাবাসী।

এছাড়া খুলনা-৪ আসন থেকে নির্বাচিত শিল্পপতি ও সাবেক তারকা ফুটবলার আবদুস সালাম মুর্শেদীর নাম মন্ত্রিপরিষদে থাকছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। দ্বিতীয়বারের মতো তিনি এ আসনের সংসদ সদস্য হয়েছেন। তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত মুর্শেদী। তিনি একাধারে এনভয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বেসরকারি প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ইএবি) সভাপতি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) পরিচালনা পর্ষদ সদস্য।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) সকালে বাংলানিউজকে বলেন, অর্থমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রীকে বৃহত্তর খুলনা থেকে নতুন মন্ত্রিসভায় দেখতে চাই। এ অঞ্চলের উন্নয়নের স্বার্থে নব নির্বাচিত খুলনার এমপিরা মন্ত্রিপরিষদে স্থান পাবেন বলে আশা করছি। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ অঞ্চল থেকে একাধিক মন্ত্রী দেওয়ার সর্বস্তরের মানুষের আশা পূরণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৯
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।