রোববার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ‘আমারি ঢাকায়’ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছেন।
তিনি বলেন, নতুন নির্বাচনই তো আমাদের এক নম্বর দাবি। যেটা হয়েছে সেটা তো কোনো নির্বাচনই হয়নি। এছাড়া সভা-সমাবেশ করার অধিকার নিয়ে কথা হয়েছে।
ঐক্যফ্রন্ট থেকে যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের শপথ নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা প্রাইভেটলি আলাপ করেছে। পাবলিকলি উঠায়নি। একজন রাষ্ট্রদূত প্রাইভেটলি জিজ্ঞাসা করেছিলেন। এটার উত্তর হলো, সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে। এ বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এটা তো বলার কথা তারা বলবেনই।
জাফরুল্লাহ বলেন, তারা প্রশ্ন করেছেন, এখন কি করবেন। আমরা বলেছি, আমরা গণতান্ত্রিক প্রসেসটা অব্যাহত রাখতে চাই। আমরা মিটিং-মিছিল করতে চাই। সরকারকে বোঝাতে চাই।
এর আগে বিকাল ৪টা থেকে পৌনে ৬টা পর্যন্ত কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
বৈঠকে ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মোস্তফা মহসিন মন্টু, মাহমুদুর রহমান মান্না, আসাদুজ্জামান রিপন, তাবিথ আউয়াল, আফরোজা আব্বাস, গোলাম মাওলা রনি প্রমুখ।
বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারসহ কূটনীতিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত, স্পেনের রাষ্ট্রদূত, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত, পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার, কানাডা-জার্মানি-তুরস্ক-মরক্কোর উপ রাষ্ট্রদূত, রাশিয়া-জাপান-অস্ট্রেলিয়ার পলিটিক্যাল ডেস্কের ফার্স্ট সেক্রেটারি, জাতিসংঘের প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯
এমএইচ/আরআর