মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়াজ নামে একটি মানবাধিকার সংগঠন আয়োজিত ‘উন্নয়নের মৃত্যুকূপে জনজীবন/নুসরাত একটি প্রতিবাদ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে আমি নাকি সময় চেয়ে আবেদন করেছি।
‘বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলে নয়, বিশ্ব রাজনীতি দেখে আমরা সংসদে গিয়েছি। কথা বলার ন্যূনতম যে সুযোগ এটা কাজে লাগাতে দানবকে পরাজিত করার জন্য শপথ নিয়েছি। ’
সরকারের সঙ্গে কোনো সমাঝোতা হয়নি জানিয়ে মির্জা ফখরুল জানান, সমঝোতা করলে অনেক আগেই করতেন। খালেদা জিয়া সমঝোতা করলে এখন প্রধানমন্ত্রী থাকতেন। তিনি কখনোই নীতির প্রশ্নে আপস করেননি।
তিনি বলেন, গতকাল থেকে রাজনীতি গরম হয়ে গেছে। এটা নিঃসন্দেহে চমকের মতো সংবাদ। ইউটার্ন মনে করতে পারেন। আমাদের সিদ্ধান্ত অন্যরকম ছিল। ৩০ ডিসেম্বর কোনো নির্বাচন হয়নি প্রহসন হয়েছে। খুব খারাপ সিদ্ধান্ত বলে মনে করি না। আমাদের সুযোগ ন্যূনতম কাজে লাগাতে চাই। সময়ের প্রয়োজনে অনেক কিছু হয়। সময় ঠিক করে দেবে আমাদের সিদ্ধান্ত ভুল না ঠিক।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে একদলীয় শাসন রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তম্ভকে দলীয়করণ করা হয়েছে। প্রশাসন, জুডিশিয়াল, গণমাধ্যম- সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গভীর সংকটে পড়েছে। এটা শুধু বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের সংকট নয়, গোটা জাতির সংকট।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আসলে এত বেশি প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয় যে বাংলাদেশ বড় উন্নয়নের জায়গা চলে গেছে। কোথায় উন্নয়ন হচ্ছে? উন্নয়নের নামে প্রহসন চলছে। উন্নয়নের দুর্নীতি চলছে, লুটপাট চলছে। ব্যাংককিং খাতকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহিদা রফিক, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
বাংলাদেম সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এমএইচ/এএ