শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে গাইবান্ধা এনএইচ মডার্ন হাইস্কুলে আশ্রয় গ্রহণকারী বন্যার্ত জনগণের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি সরকারের প্রতি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, বন্যায় মানুষ খুবই কষ্ট পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা এ দুর্দিনে আপনাদের পাশে থেকে কষ্টের ভাগিদার হতে এসেছি। আমরা প্রতিকূল পরিবেশে সরকারের বাইরে থেকে পর্যাপ্ত রিলিফ বিতরণ করতে পারবো না। কিন্তু জনগণের প্রতি ভালোবাসা থেকে সীমিত
সামর্থ নিয়ে বানভাসিদের পাশে থেকে তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছি।
সদ্য প্রয়াত তার বড়ভাই হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালে ১৯৮৬ সালের দুর্যোগের সময় নিজে পানিতে নেমে বানভাসিদের মধ্যে রিলিফ বিতরণ করেছেন। মানুষের ঘরে ঢুকে তাদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। দেশবাসীর প্রতি ছিল তার অসীম ভালোবাসা। তাই বন্যার্তরা সেসময় পর্যাপ্ত ত্রাণ পেয়েছে। আমরা যেখানেই গেছি, সেখানেই সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম এরশাদের জন্য সাধারণ মানুষের চোখের পানি দেখেছি। তারজন্য
মানুষের ভালোবাসা ছিল অপরিসীম।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আহসান আদেলুর রহমান আদেল, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি আব্দুর রশিদ
সরকার, সরওয়ার হোসেন শাহীন প্রমুখ।
এর আগে জাতীয় পার্টি নেতারা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর হাইস্কুল মাঠে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। পরে বাদামের চর ও লালচামার চরে বানভাসি মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। নেতারা গাইবান্ধা শহরের জেলখানা মোড়েও এক পথসভায় বক্তব্য রাখেন। সেখানেও কিছু ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
এসএইচ