ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ফখরুলসহ বিএনপির তিন নেতার জামিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৯
ফখরুলসহ বিএনপির তিন নেতার জামিন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশারফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

ঢাকা: হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গ্রেফতারি পরোয়ানার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

 
জামিন পাওয়া বিএনপির অপর দুই নেতা হলেন— দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

আসামিদের পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে বাদীপক্ষে আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।  

বিএনপি নেতাদের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য—খন্দকার মোশারফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়াকে আসামি করা হয়।

মামলার আর্জিতে বলা হয়, গত ২৩ জুলাই বাদীর বাসায় রেজিস্ট্রি ডাকযোগে একটি চিঠি পাঠান বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা। চিঠিতে বলা হয়— ‘বাদী একজন মামলাবাজ। তিনি শেখ হাসিনার দাপটে খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছেন বাদী। ’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আইএসের কাছে এ বিষয়ে লেখা হয়েছে। কাজেই এবি সিদ্দিকীকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়। এর আগে গত মে মাসে তারেক রহমান বাদী এবি সিদ্দিকীকে খুন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে চেষ্টা করেও সফল হননি। তবে এবার বাদী বাঁচতে পারবেন না। ’ এটা বলে চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়।

এ ধরনের চিঠি পেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়ে আবেদন করেছেন বলে উল্লেখ করেন বাদী। তারপরও হুমকি পেয়ে তিনি মামলা করলেন। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন। ’

মামলা দায়েরের পর ওইদিনই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর জামিনের জন্য উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন বিএনপির নেতারা। তবে উচ্চ আদালত তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী আজ মামলার তিন আসামি জামিন নিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৯
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।