বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলা কমিটির সম্মেলন আগে হবে।
তিনি বলেন, যে সব ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলায় মেয়াদোত্তীর্ণ সেগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন মানেই তো নেতৃত্বের পরিবর্তন কিছু আসবে, নতুন মুখ আসবে। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এবার নির্বাহী কমিটি সাজানো হবে।
‘আমি আমাদের নেত্রীর সঙ্গে আলাপ করে যেটা বুঝেছি ক্লিন ইমেজ, উজ্জ্বল ভাবমূর্তি যার রয়েছে তারাই নির্বাহী কমিটিতে স্থান পাবেন এবং ভালো পদে যাবেন। গুরুত্বপূর্ণ পদেও যাবেন। যাদের ক্লিন ইমেজ আছে, পারফরম্যান্স ভালো তাদের অবশ্যই আপগ্রেডেশন হবেই। ’
দলের পরীক্ষিত, ত্যাগী, নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে, দুঃসময়ে যারা আওয়ামী লীগের সংগ্রাম-আন্দোলনে ছিল সেসব লোকেরাই আসবে, এদের মধ্যে নতুন মুখও আসবে। যারা বয়সে অপেক্ষাকৃত কম কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসে নাই, এমন অনেকেই আসতে পারেন।
বিএনপি-জামাতের কাউকে দলে ঢোকাবেন কিনা- প্রশ্নে কাদের বলেন, না। আগে যেগুলো হয়েছে সেগুলো বিচ্ছিন্নভাবে হয়েছে। তদন্তে তাদের দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। নমিনেশন দেওয়া হয়নি। এটাও একটা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
আওয়ামী লীগের আগে যুবলীগের সম্মেলন হবে কিনা- জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আজ আমাদের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবো। তিনি কিছু নির্দেশনা দেবেন এগুলো নিয়ে, আপনারা জানতে পারবেন।
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত দলীয় লোকদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবেন কিনা- প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংগঠনিক ব্যবস্থা তো নানাভাবে নেওয়া যায়। হয়তো একজন একটা ভালো পদে আছেন, তার বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ থাকলে তিনি পদ হারাতে পারেন- সেটাও একটা শাস্তি। এ ধরনের শাস্তি গত নির্বাচনে মনোনয়ন ও মন্ত্রিসভা গঠনের মাধ্যমে অনেকেই পেয়েছেন। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তো শুধু দল থেকে বের করে দেওয়া নয়, পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া এবং পদাবনতিও একটা শাস্তি।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুসহ তিন্তা-ফেনীসহ বিভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং অমীমাংসিত বিষয়গুলো আলোচনায় আসতেও পারে বলে জানান কাদের। ‘ভারতের সঙ্গে এখন আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক উচ্চতায়। আমি আশাবাদী। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ