ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

১/১১ পরিস্থিতি ঠেকাতেই চলমান অভিযান: মোশাররফ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৯
১/১১ পরিস্থিতি ঠেকাতেই চলমান অভিযান: মোশাররফ বক্তব্য রাখছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশে আবারও যেন ওয়ান-ইলেভেনের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্যই বর্তমান মাদক ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বুধবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও টেক্সটাইল সেক্টর ধ্বংসের প্রতিবাদে জাতীয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ (জেটেব) আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ বলেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

যে মামলায় জামিন হওয়ার কথা, সে মামলায় তাকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। বেগম জিয়া কোনো দুর্নীতির দায়ে কারারুদ্ধ হননি। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতেই খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে।  

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠান পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে এই সরকার। আজ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ মিলে সব সরকারি প্রতিষ্ঠান দখল করে ফেলেছে। এমনকি হাইকোর্টেও তারা দলীয়করণ করেছে। আজ সবখানেই লুটপাটের রাজনীতি চলছে।

বিএনপি নেতা বলেন, ব্যাংকগুলো দেওলিয়া হয়ে যাচ্ছে। যারা আওয়ামী লীগ করে, তারা অবৈধ পথে বাণিজ্য করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সরকারের কাছে দেশ পরিচালনার টাকা নেই। সরকার পরিচালনার জন্য বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এমনকি টোল আদায়ের মাধ্যমে টাকা আদায় করছে সরকার।  

তিনি বলেন, আমাদের পাট শিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে, টেক্সটাইল শিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে। দেশের চামড়া শিল্পকেও ধ্বংস করেছে এই সরকার।  

চলমান অভিযান সম্পর্কে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, তিনি বাধ্য হয়ে দুর্নীতি, মাদক ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছেন। আসলে তিনি এ অভিযান শুরু করেছেন যেন, ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি না হয় সেজন্য।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনি ভারতে যাচ্ছেন যান। কিন্তু, সেখানে এমন কোনো চুক্তি করবেন না, যার কারণে দেশের মানুষের ক্ষতি হয়, বাংলাদেশের ক্ষতি হয়।  

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জেটেব উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিউল্লাহ শফি, কাদের গনি চৌধুরী, আওয়াল খান ইঞ্জিনিয়ার আদিল প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জোটের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ফখরুল আলম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
আরকেআর/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।