বুধবার (০২ অক্টোবর) দুপুরে মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করে।
তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বাংলানিউজের কাছে বৈঠকের কথা স্বীকার করলেও তাতে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা একটি সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আগামী ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে। এছাড়া ১৩ অক্টোবর ঐক্যফ্রন্ট গঠনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষেও ঢাকায় সমাবেশ করবে জোটটি। তবে কোথায় সমাবেশ করবে, সেটা না জানা যায়নি। যেকোনো উন্মুক্ত স্থান অথবা ঘরোয়াভাবে এ সমাবেশ হতে পারে।
বুধবারের বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, সংসদ বাতিল করে অবিলম্বে জাতীয় সরকার গঠন, ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত রাঘববোয়ালদের গ্রেফতারের দাবিতে অক্টোবর ও নভেম্বরে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম-সিলেটসহ কয়েকটি বিভাগীয় শহরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে সমাবেশ করা হবে। এসব সমাবেশে ড. কামাল হোসেনসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পরবর্তী বৈঠক আগামী ৬ অক্টোবর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ভোট ডাকাতির নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে ২৯ অথবা ৩০ ডিসেম্বর। এছাড়া ১৩ অক্টোবর ঐক্যফ্রন্টের বর্ষপূর্তি উপলক্ষেও ঢাকায় সমাবেশ করা হবে। আর অক্টোবর-নভেম্বরে চট্টগ্রাম ও সিলেটে সমাবেশ হবে। এই সমাবেশের তারিখ পরে নির্ধারণ করা হবে।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের ডা. জাহেদ উর রহমান, শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এমএইচ/টিএ