১৪ দলীয় জোটের শরিক গণতন্ত্রী পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি একথা বলেন।
দুর্নীতি ও ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানের সময় সবাইকে সবদিকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য অশুভ শক্তি প্রস্তুত রয়েছে।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা বাম রাজনীতি করেন তারা অনেক ত্যাগী-সজ্জন, পরিশ্রমী এবং সৎ চরিত্রের অধিকারী। তবে বাম রাজনৈতিক দলগুলোর বারবার বিভক্তির কারণে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। আপনারা সরকারের থাকেন আর বিরোধীদলের থাকেন, আপনারা সংঘটিত হন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বাংলাদেশে সংঘটিত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই যে যারা আওয়ামী লীগের নামে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন, তারা আমাদের ব্যর্থতার কারণে আওয়ামী লীগে এসেছেন। এ ব্যর্থতার দায় আমরা অস্বীকার করতে পারি না।
নিজের চোখের অপারেশনের কথা উল্লেখ করে নাসিম বলেন, কয়েকদিন আগে আমার চোখে অপারেশন হয়েছে, তাই আমি কালো চশমা পরি, কালো চশমা পরলে আমাকে নাকি ডনের মত দেখা যায়। বর্তমানে যেসব ডনের নাম দেখা যাচ্ছে পত্রপত্রিকায়, তারা এতদিন কোথায় ছিল? তাদেরতো কোনো দিন রাজপথে লড়াই-সংগ্রামে দেখা যায়নি। এরা কারা? এরা কোথা থেকে এসেছে?
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বর্তমানে কিছু রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিকও এত বেশি তোষামোদ করে যে ভয় হয়, তাদের এই উচ্চবাচ্য এবং অতিরিক্ত কথা বলার কারণে চলমান অভিযান না ব্যর্থ হয়ে যায়। তাই বেশি কথা বলা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভিযান চলছে এবং চলবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। তিনি জঙ্গিবাদের উত্থান রোধ করেছেন। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছেন, সেই শেখ হাসিনাই এসব ডনদের শায়েস্তা করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, কৃষক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সবুর।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মাহমুদুর রহমান বাবু। পরিচালনা করেন গণতন্ত্রী পার্টির প্রচার প্রকাশনা এবং দপ্তর সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সেলিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
আরকেআর/এইচএ/