ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে সবাই চরম আতঙ্কিত’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
‘সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে সবাই চরম আতঙ্কিত’ কথা বলছেন বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেছেন, সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে শিশু, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পিটিয়ে ছাত্র হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র নরসিংদী জেলা নেতাদের সঙ্গে বারিধারা ডিওএইচএস’র নিজ বাসা থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া ও যুগ্ম মহাসচিব মো. আতিকুর রহমান।

জেবেল গাণি বলেন, দেশের বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের মতো নৃশংস ঘটনা বাড়চ্ছে। আর এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক শক্তির ইন্ধন থাকায় বিচার হয় না। হত্যাকাণ্ডগুলোকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য ব্যবহারের কারণে ইন্ধনদাতারা থাকেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

তিনি বলেন, শিশু তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুনামগঞ্জসহ দিরাইয়ের সবাই যেমন শোকে বিহ্বল তেমনি আমরাও নির্বাক, হতবাক এবং বিস্মিত। এ ঘটনায় গোটা জাতির সঙ্গে বাকরুদ্ধ খেলাঘর পরিবারের প্রতিটি সদস্য। কী এমন অপরাধ করেছিল পাঁচ বছরের শিশুটি? যে কারণে তাকে অল্পদিনেই পৃথিবী থেকে বিদায় করে দেওয়া হলো। ঘাতকদের পৈশাচিকতা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।

সমাজে শিশুরা আজ নিরাপদ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, একের পর এক শিশুরা হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও শিশুরা নিরাপদ পরিবেশ পাচ্ছে না। এতে নতুন প্রজন্মের মানসিক ও শারীরিক বিকাশেও বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সামাজিক চরম অবক্ষয়ের কারণে শিশুসহ অভিভাবকরাও আজ চরম আতঙ্কিত।

জেলা কার্যালয়ে নরসিংদী জেলা সমন্বয়কারী এহসানুল হকের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী অধ্যাপিকা শিউলী সুলতানা, রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য রাফিয়া খাতুন, শামসুর রহমান মোল্লা, আবদুল হাই, তাইজুদ্দিন ফকির, সাহিদা আক্তার, মাইনউদ্দিন ভূঁইয়া, মোমিনুল হক ফকির প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।