বুধবার (১৬ অক্টোবর) সোনাগাজী মো. ছাবের সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ২০০১ সালে এ মাঠেই জনসভা করতে এসেছিলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা হিংসার রাজনীতি করেন না, উন্নয়নের রাজনীতি করেন। সোনাগাজীতে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। সে কারণেই জনগণ আওয়ামী লীগের ছায়াতলে এসেছে। একসময় সোনাগাজীতে রাজনৈতিক হানাহানি ছিল। সেই বারুদের গন্ধ আর গুলির আওয়াজ এখন নেই। এখন পুরো ফেনী জেলা শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে।
সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ মাঠেই নুসরাতের জানাজায় এসে বলেছিলাম, খুনিরা যতই শক্তিশালী হোক, পার পাবে না। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই এ মামলার বিচারকাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২৪ অক্টোবর সেই মামলার রায় হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যারা জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আসতে হবে। তিনি কাউকে রেহাই দেননি। সবাইকে কাড়গড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মফিজুল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান (বিকম)।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আকরামুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক একে শহিদ উল্লাহ খোন্দকার, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক লিটন, সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন। সম্মেলনের শুরুতে সাংগঠনিক প্রতিবেদন ও শোকপ্রস্তাব উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন।
দ্বিতীয় অধিবেশনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন। নবগঠিত কমিটিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মফিজুল হককে সভাপতি ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এসএইচডি/একে