শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও একই স্থানে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাবের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় পথসভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা নিছক একটি হত্যাকাণ্ড নয়। আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ ও চিন্তা চেতনায় যে পচন ধরেছে-ফাহাদ হত্যা তারই নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। অবৈধ চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসই ছিল ফাহাদের অপরাধ। ফাহাদ দেশের স্বার্থের পক্ষে, জনগণের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে কথা বলায় এ দেশীয় তাবেদাররা তাকে সহ্য করতে পারেনি।
তিনি বলেন, দেশের সর্বস্তরের মানুষের অব্যাহত দাবি সত্ত্বেও শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। তাকে মুক্তি না দিয়ে কারাগারে হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নে জোরালো তৎপরতা চালাচ্ছে। এখন আওয়ামী লীগের নেতারা প্রকাশ্য জনসমাবেশে বুক ফুলিয়ে ঘোষণা করছেন খালেদা জিয়াকে আমৃত্যু কারাগারে বন্দি রাখা হবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে বাকি জীবন কারাগারেই কাটাতে হবে। ’ তার কথায় প্রমাণ হয়, দেশে আইন আদালত, বিচার-আচার কিছুই নেই।
মিছিলে অংশগ্রহণ করেন জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম চৌধুরী, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, জাকির হোসেন খান, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, লোকমান হোসেন হাওলাদার, শাহ আলম, জহিরুল ইসলাম বাশার, এম এ হান্নান, কবির উদ্দিন মাস্টার, সাইদুল ইসলাম টুলু, সদস্য শহিদুল ইসলাম পামেল, জাহিদুল আলম মিলন, হিমু, তানভীর আহমেদ, আহমেদ সোহেল মামুন এবং মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও নেতারা।
এদিকে, সকাল ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দল।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/