রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের ১ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, মাদক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি মেয়র থাকি আর না থাকি, প্রয়োজনে আমার বাড়ি বিক্রি করে সংগঠনের নেতাকর্মীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা হবে। কিন্তু, বিনা চিকিৎসায় কাউকে মরতে দেবো না।
মেয়র বলেন, আমি গডফাদার হতে রাজনীতিতে আসিনি। আমার পূর্বপুরুষেরা যেভাবে এদেশের মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করেছেন, আমিও তাদের উত্তরসূরি হয়ে জনগণের সেবায় আমৃত্যু কাজ করে যাবো।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে। সংগঠন নেতাকেন্দ্রিক পরিচালিত হতে পারে না। সংগঠন বেঁচে থাকলে আমরাও বেঁচে থাকবো। প্রধানমন্ত্রী যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন, তাতে কেউই পার পাবে না। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী কোনো অপকর্মের দায় নেবেন না, সেহেতু তার কর্মী হয়ে আমিও কোনো অপকর্মের দায় নেবো না। সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে যে শপথ নিয়েছি, তা থেকে আমি কোনোভাবেই পিছুপা হবো না।
সম্মেলন উদ্ধোধন করেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল। তিনি তার বক্তব্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর ফরিদউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগের লোক হওয়া আর আওয়ামী লীগ করা এক কথা নয়। আমাদের আগে আওয়ামী লীগের লোক হতে হবে।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার হেমায়েত উদ্দিন বাদশা, প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন, অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার রাজিব, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ, শ্রমিক লীগের পরিমল চন্দ্র দাস, মহিলা লীগের ফেরদৌসি জাহান মুন্নি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবুল বাশার সুমন, জসিম উদ্দিন, ছাত্রলীগের ইমরান মোল্লা প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, মহানগর ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
এমএস/একে