রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নগরের দি কিং অব চিটাগাং-এ চট্টগ্রামে বিভাগের ৬ জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রতিনিধি সভায় অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারাই আওয়ামী লীগের প্রাণ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে সবাই এখন আওয়ামী লীগ করতে চায়। আমরা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপির নেতৃত্বে ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের যে কেন্দ্রীয় সম্মেলন হবে, সে উপলক্ষে দলকে পরিস্কার করার কাজে হাত দিয়েছি। দলে অনেক অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। অনেক সুবিধাবাদী ঢুকেছে। তৃণমূল পর্যায়েও অনেক সুবিধাবাদী ঢুকেছে। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারী, বর্ণচোরা দলের বিভিন্ন পর্যায়ে ঢুকেছে- সম্মেলনকে সামনে রেখে তাদের সবাইকে পদ-পদবী থেকে বাদ দিতে হবে। সংগঠনকে পরিস্কার করতে হবে, সুবিধাবাদী মুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর আমরা ক্ষমতায় ছিলাম না। বুকে পাথর বেঁধে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। সংগঠন দুর্বল ছিল না, অনেক শক্তিশালী ছিল। সেই শক্তির ওপর ভর করে যারা কোনও দিন ভাবেনি আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে, সেই পোড় খাওয়া নেতাদের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় গেছে সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে। আমাদের দরকার সেই পোড় খাওয়া নেতাদের।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামীলীগ গণসংগঠন। যে কেউ আওয়ামীলীগকে সমর্থন করতে পারে। কিন্তু যাদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, সে বাঙালি নাকি বাংলাদেশী, এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে দেশ রচনা করেছেন- সেই নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, গত ১০ বছরে কোনও কোনও সময় পেট্রোল বোমার সঙ্গে যুক্ত ছিল; তাদেরকে আমাদের সংগঠনে দরকার নাই।
‘পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে এই যে অনুপ্রবেশকারী, ছারপোকা ঢুকেছে, উইপোকা ঢুকেছে-এগুলো বের করতে হবে। অন্যদিকে পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের কোনও কোনও জায়গায় আলস্যও দেখা দিয়েছে। এই যে সুসময়, এটি সবসময় থাকবে- তা মনে করার কারণ নাই। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আজকে ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নাই। পেট্রোল বোমা বাহিনী, স্বাধীনতার বিরোধী চক্র যারা আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রক্ষমতায় চায় না, তারা বসে নাই। তাদের ষড়যন্ত্রের নুতন সংস্করণ হচ্ছে- আমাদের মধ্যে উইপোকা ঢুকিয়ে দিয়ে সংগঠনকে ঘুণে যেভাবে গাছ খেয়ে ফেলে, সেই কাজ করানো। এটি নুতন ষড়যন্ত্রের অংশ। এই ষড়যন্ত্র থেকে দলকে রক্ষা করতে হবে’ বলেন ড. হাছান মাহমুদ।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপঙ্কর তালুকদার এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
টিসি