ন্যাপ
ঢাকা: পেঁয়াজ সিন্ডিকেটে জিম্মি জাতি মুক্তি পাবে কবে প্রশ্ন করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ভারতের বাজারের দোহাই দিয়ে মূল্য বাড়ানোর মাধ্যমে গত মাসে প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে পেঁয়াজ সিন্ডিকেট। দেড় মাস আগে যে পেঁয়াজের মূল্য ছিল ৫০ টাকা। চার ধাপে দাম বেড়ে তা এখন ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বর্তমানে এক কেজি পেঁয়াজের দামে প্রায় চার কেজি মোটা চাল পাওয়া যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, পেঁয়াজের মূল্য বাড়ানোর মাধ্যমে জনগণের লুট করা অর্থ গেছে সিন্ডিকেট আর অসাধু ব্যবসায়ীদের পকেটে।
এই লুটের সঙ্গে সরকারের প্রভাবশালী কেউ না কেউ জড়িত। তা না হলে এই লুট সম্ভব হতো না। সবমিলিয়ে পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে পুরো দেশ। আর সিন্ডিকেট ভাঙতে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গ্রহণ করতে পারেনি। সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী বার বার মূল্যহ্রাসের আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর করতে পরিপূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন।
ওই নেতারা বলেন, পেঁয়াজের মূল্য যেভাবে বাড়ছে, তা স্বাভাবিক নয়। এটি এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। পণ্যের দাম বাড়লে একজন আরেকজনের দোষ দেয়। তবে বিষয়টি নজরদারির দায়িত্ব সরকারের। কোনো ধরনের কারসাজি হলে তাদেরই চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তারা আরও বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী পেঁয়াজের সংকট কাটতে সময় লাগবে আরও এক মাস- এমন বক্তব্য দিয়ে যাওয়ার পর পেঁয়াজের আড়তদার ও আমদানিকারকরা দাম ঊর্ধ্বমুখী করতে যেন আরও একটু সাহস পেয়েছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের একাধিক সংস্থা রয়েছে। কিন্তু সেগুলো তেমন কার্যকর নেই, যে কারণে সিন্ডিকেট ধরা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
এমএইচ/এএটি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।