মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ন্যাম সম্মেলন থেকে ফিরে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন জানিয়ে ফখরুল বলেন, এখন আর নন-অ্যালায়েন্স বলতে কিছু নেই।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, এজন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে তারা জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার করছেন। একজন আবার বলেছেন, হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে। আমরা জানতে চাই তিনি কি অবস্থায় আছেন তা পরিস্কার করে জানান।
তিনি বলেন, পরিস্কার বলতে চাই খালেদা জিয়া কোনো মামলায় সাজা পাননি। আপনাদের সাজানো মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দিয়েছেন। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। তার চিকিৎসা কিভাবে করবেন সেটার সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন। আমরা তার প্রাপ্য জামিন চাই।
ক্যাসিনোর ঘটনা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা অবশ্যই আইওয়াশ। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে এখন ছোটখাটো কয়েকজনকে ধরে বলছেন আমরা শুদ্ধি অভিযান করছি। এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে তারা শুদ্ধ নয়। তাদের শুদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন আছে। আজকে গোটা বাংলাদেশকে তারা অশুদ্ধ করে ফেলেছে। লুট হচ্ছে, ডাকাতি হচ্ছে. কোথাও বাছ-বিচার নেই। দুর্নীতি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে যে রূপপুরের একটি প্রকল্পে ৭৭ শতাংশই লুট হচ্ছে। আর ২৩ শতাংশ কাজ হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে বলেছেন ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ভোটারবিহিন নির্বাচন করে টিকে থাকতে পারেনি। তার এ বক্তব্যের জবাবে বলতে চাই ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন করেছিলাম কেয়ারটেকার সরকার গঠনের জন্য। দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি আনার জন্য। আর আপনারা নির্বাচন করেছেন ক্ষমতায় আরও ৫ বছর টিকে থাকার জন্যে। আর আপনি বলেছেন, জনগণ আপনাদের সঙ্গে আছে, তাহলে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে একটা নির্বাচন দেন, দেখেন জনগণ কার সঙ্গে আছে। ২৯ ডিসেম্বরতো সব লুট করে নিয়েছেন।
যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, বিএনপির সহ যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, সাবেক যুবদল নেতা আলবার্ট পি কস্তা, যুবদল মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, যুবদল মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শরীফ উদ্দিন জুয়েল প্রমুখ।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/