ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আমরণ অনশনে ছাত্রদলের বিবাহিত পদপ্রত্যাশীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
আমরণ অনশনে ছাত্রদলের বিবাহিত পদপ্রত্যাশীরা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিবাহিত নেতাদের বাদ না দেওয়ার দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি

ঢাকা: ছাত্রদলের রাজনীতি করার সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধু বিবাহিত থাকার অভিযোগে ছাত্রদলের আসন্ন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাদের বাদ না দেওয়ার দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন সংগঠনটির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তারা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।

ছাত্রদলের বিগত কেন্দ্রীয় কমিটির স্কুলবিষয়ক সম্পাদক আরাফাত বিল্লাহ খান বলেন, আমাদের কর্মসূচি হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।  

আরাফাত বিল্লাহ ছাত্রদলের বিগত কাউন্সিলে সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র তুললেও বিবাহিত হওয়ার কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।

ছাত্রদলের একাধিক বিবাহিত নেতা বলেন, ছাত্রদলের কাউন্সিলে শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিবাহিতরা প্রার্থী হতে পারবেন না বলে শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাদের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে তখন কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি। এখন দুই সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি যখন পূর্ণাঙ্গ করা হচ্ছে, তখন এই ইস্যুটি সামনে আনা হয়েছে।  

‘এ ব্যাপারে আমরা ছাত্রদলের কাউন্সিলে দায়িত্বপালনকারী সংগঠনটির সাবেক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো সমাধান দিতে পারেননি। তারা (সাবেক নেতারা) আমাদের বলেছেন, ছাত্রদলের নির্বাচন পরিচালনার ওই কমিটি পরবর্তীতে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ডাকলে তখন বিষয়টি তাকে বলবেন। ’

বিবাহিত নেতারা আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গেও আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করেছেন। তারা দু’জনই এ ব্যাপারে নেতিবাচক। তারা (খোকন-শ্যামল) বলেছেন, লন্ডনে কথা বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানকে রাজি করাতে পারলে বিষয়টিতে তাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।

অন্য একজন নেতা বলেন, আমরা জেনেছি ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইতোমধ্যে পঞ্চাশের কম সদস্যবিশিষ্ট একটি আংশিক কমিটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছেন। সেখানে বিবাহিত কাউকেই রাখা হয়নি। এর আগে গত ৩ জুন রাজীব-আকরামের নেতৃত্বাধীন ছাত্রদলের বিগত কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিয়ে বয়সসীমা নির্ধারণকরে কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠনের নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় বিএনপি।  

এর প্রতিবাদে অতীতের ধারাবাহিকতায় বয়স্কদের দিয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে আন্দোলনে নেমে সংগঠনটির ১২ নেতা বহিষ্কার হলেও এখনও প্রত্যাহার হয়নি তাদের বহিষ্কারাদেশ।    
 
কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত বিল্লা খান, সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ ভদ্র, মো. ফরিদ হোসেন খান, ছাত্রদল নেতা এইচ এম রাশেদ, কামাল আহমেদ, মো. সানোয়ার আলম, মুজাহিদুর রহমান, মাহমুদুল আলম শাহিন, মো. শহিদুল ইসলাম মল্লিক, সাইফুজ্জামান সাইফুল, এমএ আশিক, নিজামুদ্দিন, নুরুল আলম আল আলামিন, শফিউল আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এমএইচ/এএ  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।