বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপির সম্পাদকমণ্ডলী ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়ে এক যৌথসভা শেষে মহাসচিব বলেন, ৭ নভেম্বর সকাল ৬টায় ঢাকাসহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। সেসময় (১৯৭৫ সালে) দেশে একদলীয় শাসনের হাত থেকে সিপাহী জনতার সমন্বয়ে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। আজও বাংলাদেশে সেরকম পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা দেশের নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছি না। বর্তমান সরকার ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছে। অর্থনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। কৃষক ধানের দামসহ উৎপাদিত পণ্যের মূল্য পাচ্ছে না। দেশে গণতন্ত্র না থাকায় এসব হচ্ছে।
তিনি বলেন, যিনি দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন সেই গণতন্ত্রের মাতা ‘দেশনেত্রী’ খালেদা জিয়াকে ২০ মাস ধরে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তার প্রাপ্য জামিনও দেওয়া হচ্ছে না। এটা কোনো আনুকূল্য নয়। আমরা ৭ নভেম্বর সামনে রেখে মাসব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের কাছে যেতে চাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের বাকস্বাধীনতা পুনঃ প্রতিষ্ঠা করবো।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা গুরুতর অসুস্থ জানিয়ে ফখরুল সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের প্রতিভাবান ক্রিকেট খেলোয়াড়। যে ঘটনা (সাকিবের ওপর নিষেধাজ্ঞা) ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। ক্রিকেটেও শাসন ব্যবস্থার প্রতিফলন ঘটেছে। আশা করবো এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, এবিএম মোশারফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার কাজী আবুল বাশার, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমদ খান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এবিএম আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/