ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই ঐক্যের ডাক ড. কামালের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই ঐক্যের ডাক ড. কামালের

ঢাকা: স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির (সুবর্ণজয়ন্তী) আগেই সবাইকে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, আমাদের আন্দোলন হবে ইতিবাচক, আন্দোলন হবে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য। এ ধরনের আন্দোলনকে কেউ শক্তি দিয়ে থামাতে পারবে না, ধ্বংস করতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাসভায় ড. কামাল একথা বলেন।

ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, আর মাত্র এক/দেড় বছর পর স্বাধীনতার ৫০ বছর।

সেটাকে সামনে রেখে আসেন আমরা জেলায় জেলায় যাই। আক্রমণাত্মক কথা না বলে তাদের বুঝাই যে শহীদরা কীসের জন্য স্বাধীনতাযুদ্ধে মূল্য দিয়েছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সত্যিকার অর্থে একটা স্বাধীন দেশে বাস করা।

‘আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে যদি বলি- আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, দেশের মালিকানা দেশের জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে আমরা মনে করবো আমাদের ৫০ বছরের স্বাধীনতা অর্থপূর্ণ হয়েছে। চলেন এটা আমরা সবাই মিলে করি, প্রত্যেক জেলায়, প্রত্যেক গ্রামে, পাড়ায়-মহল্লায়। ইনশাল্লাহ আমি মনে করি আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। ’

ড. কামাল বলেন, জনগণের মধ্যে যখন ঐকমত্য হয়েছে সেই ঐকমত্যের সামনে কোনো কিছু দাঁড়াতে পারেনি। বন্দুক নিয়ে কামান নিয়ে কোনো কিছু দাঁড়াতে পারেনি। বাঙালি যখন ঐকমত্যে আসে সেই শক্তি হলো সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই শক্তির কাছাকাছি আমরা অলরেডি এসে গেছি। আপনারা পরীক্ষা করে দেখেন। জেলায়-জেলায়, গ্রামে-গ্রামে দিয়ে দেখেন। মানুষ একাত্তরে যে স্বপ্ন দেখেছিল। প্রত্যেক পরিবারে শহীদ হয়েছিল। আমি যেখানে যাই, জিজ্ঞেস করি- এখানে শহীদদের কবর আছে কি-না, সবাই বলে প্রতিটা গ্রামে শহীদদের কবর আছে। এত শহীদ কেন জীবন দিয়েছিলেন? ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন? কারণ এই দেশের জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক। সেই মালিকানার জন্য কত মূল্য দেওয়া হয়েছে।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিকল্প ধারার সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।