ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সিলেট বিএনপিতে গণপদত্যাগের শঙ্কা!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৯
সিলেট বিএনপিতে গণপদত্যাগের শঙ্কা! বিএনপি

সিলেট: জেলা ও মহানগর যুবদলের ঘোষিত নতুন কমিটি নিয়ে বিস্ফোরন্মুখ সিলেট বিএনপি। যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের নাম আসেনি ঘোষিত কমিটিতে। এই ‘একতরফা’ কমিটি নিয়ে নাখোশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে জেলা ও মহানগর বিএনপি। শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে এ ইস্যুতে তারা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন।  

দলীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে নগরীর কুমারপাড়া, ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই, মিরবক্সটুলা, আম্বরখানা, মিরাবাজার, দক্ষিণ সুরমায় যুবদলের নতুন কমিটি ইস্যুতে একাধিক বৈঠক হয়েছে।   

ঘোষিত কমিটিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ হক, তাহসীনা রুশদীর লুনা, কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামানসহ দলটির বড় বলয়গুলোর ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের জায়গা হয়নি নবঘোষিত দুই কমিটিতে।

এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সিলেট বিএনপির নেতারা। শিগগিরই সব বলয়ের নেতারা একত্রিত হয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করার কথা রয়েছে।

এক্ষেত্রে শীর্ষ সারির নেতারা কেন্দ্রে নতুন কমিটি দু’টির বাতিলের দাবি জানাবেন। অন্যথায় সিলেট বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন থেকে গণপদত্যাগের কর্মসূচিও আসতে পারে।

বিএনপির একাধিক নেতা এতথ্য নিশ্চিত করলেও এই মুহূর্তে নামপ্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা বলেন, অপেক্ষা করুন, শিগগিরই সব খোলাসা হয়ে যাবে। রাজপথের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মী ছাড়া কোনো অবস্থাতেই খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন জোরদার সম্ভব নয়।

বিএনপি নেতারা জানান, দীর্ঘ দেড় যুগ পর জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটিতে যাদের স্থান দেওয়া হয়েছে, তারা একজন ব্যবসায়ী নেতার বলয়ের সুবিধাভোগী কর্মী। তাদের বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে দেখা যায়নি। এই কমিটি বাতিল না করলে তারা ঢাকায় গিয়ে পদত্যাগ করবেন।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব ও সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার কমিটি ঘোষণা করেন। ঘোষিত কমিটিতে জেলার আহ্বায়ক করা হয়েছে নারী নির্যাতন মামলার আসামি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান পাপলুকে। আর সাবেক ছাত্রনেতা নজিবুর রহমান নজিবকে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক করা হয়েছে।

ঘোষিত কমিটিতে জেলা শাখায় সদস্য সচিব করা হয়েছে জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মকসুদ আহমদকে। আর মহানগর শাখায় সদস্য সচিব করা হয়েছে শাহ নেওয়াজ বক্ত তারেককে।

জেলা শাখার ২৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অ্যাডভোকেট মমিনুল ইসলাম মুমিন, আখতার আহমদ, আশরাফ উদ্দিন ফরহাদ, সাইদ আহমদ, সাহেদ আহমদ চমন, ময়নুল ইসলাম মঞ্জুর, কবির উদ্দিন, সুহেল আরেফিন, মিজানুর রহমান নেছার, লিটন আহমদ, অলি চৌধুরী, কয়েছ আহমদ, অলিউর রহমান, জুনেদ আহমদ, ফখরুল ইসলাম রুমেল, মফিজুস সামাদ চৌধুরী মাহফুজ, গোলাম মোহাম্মদ আব্বাস বাপ্পি, রায়হান আহমদ, আলি আহমদ আলিম, মকসুদুল করিম নুহেল, এনামুল হক চৌধুরী শামিম, সাইফুল ইসলাম, মতিউর রহমান আফজাল, মাসুক আহমদ, আমিনুল ইসলাম আমিন, আব্দুল মালেক ও অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন হীরা।

মহানগর যুবদলের ২৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন আনোয়ার হোসেন মানিক, তোফাজ্জল হোসেন বেলাল, সাহিবুর রহমান সুজান, রুহুল কুদ্দুছ চৌধুরী হামজা, লুতফুর রহমান, লোকমান আহমদ,  সোহেল আহমদ, বেলায়েত হোসেন মোহন, নজরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ সাফি সাহেদ, উমেদুর রহমান উমেদ, এমদাদুল হক স্বপন, এম এ মতিন, কল্লোল জুতি বিশ্বাস জয়, মুজাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, জামিল আহমদ, মির্জা সম্রাট, রেজয়ান আহ্মদ, এহতেসামুল হক সবুজ, ওসমান গনি, জয়নুল ইসলাম জনি, ফহাদ বক্স, নাসির উদ্দিন রহিম, এস এম পলাস ও ইসাক আহমদ।

এদিকে, নগরীতে আনন্দ মিছিল করেছে নবগঠিত সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি। শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর জিন্দাবাজার থেকে মিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কোর্টপয়েন্টে  গিয়ে পথসভা করে। পথসভায় যুবদলের নতুন কমিটির নেতারা বিএনপি চেয়ারপারসেনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এনইউ/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।