শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি রকি কুমার সাংবাদিকদের জানান, জরুরি সভায় অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা তদন্তে মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ কুমার রায়কে অহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে এ কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভা ডাকা হয়। ওই সভায় অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভসহ ৭ নেতাকর্মীকে ইনস্টিটিউট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এজন্য কারিগরি বোর্ডের কাছে রোববার (৩ নভেম্বর) চিঠি পাঠানোর কথা রয়েছে।
এদিকে ওই ঘটনায় রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বাংলানিউজকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। পুলিশ বর্তমানে এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহসহ অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এসএস/এইচজে