পদত্যাগ করা নেতারা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সহ ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান।
কমিটি থেকে বাদ পড়া ত্যাগী, পরিক্ষিত নেতাকর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
রোববার (৩ নভেম্বর) এ ইস্যুতে ঢাকায় গিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সঙ্গে দেখা করেছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক ও ডা. শাহরিয়ার। পদত্যাগপত্র দিলেও গ্রহণ করেননি দলের মহাসচিব। ফলে পদ থেকে পদত্যাগ ছাড়াই ফিরলেন সিলেট বিএনপির এই চার নেতা।
দলীয় সূত্র জানায়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের বলেন, যুবদল নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। নতুন কমিটিকে চালিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন তিনি। ফলে অনেকটা মন খারাপ করেই ফিরেছেন তারা।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নেত্রী কারাগারে। তাই অনেক কিছু হয়তো হয়েও হবে না। তবে বঞ্চিত নেতাকর্মীদের পক্ষে আমরা পদত্যাগে অটল আছি। সিলেটে রবীন্দ্র শতবর্ষ উদযাপনের পরে ১০ নভেম্বর এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে বসবো।
সাবেক ছাত্রদল নেতা মতিউল বারী চৌধুরী খোরশেদের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, তার গায়ে কমপক্ষে দেড় শতাধিক স্প্রিন্টার রয়েছে। আরেক নেতা আন্দোলন করতে গিয়ে কতবার জেল খেটেছেন, এর হিসাব নেই। দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ইকবাল বাহার চৌধুরী, শাকিল মুর্শেদের বাসা তছনছ করা হয়েছে। এভাবে হাজারো পরিক্ষিত নেতাকর্মী রয়েছেন, তাদের যুবদলে মূল্যায়ন করা যেতো। আর যাদের কমিটিতে নাম এসেছে, তারাও কি মাপের নেতা তাও সবাই জানে। তাই নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের জন্য আমরা পদত্যাগে অনড় আছি।
দীর্ঘ দেড় যুগ পর সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। একজন ব্যবসায়ী নেতার কথায় কমিটি দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ সিলেট বিএনপির একাধিক বলয়ের।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
এনইউ/এএ