তবে সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে অব্যাহতি পাওয়া এমপি পঙ্কজ দেবনাথ বলেছেন, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। একটি বিশেষ মহলের ইন্দনে এ অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
সোমবার (০৪ নভেম্বর) বরিশাল নগরের সদর রোডের একটি রেস্তোরাঁয় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য এবং কাজিরহাট থানা আওয়ামী লীগের বর্তমান সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সঞ্জয় চন্দ্র।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এমপি পঙ্কজ দেবনাথ নিজের নির্বাচনী এলাকায় অনিয়ম, দুর্নীতি, সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছেন। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলছেন তাদের হামলা-মামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। আমিও তার সন্ত্রাসী, হামলা-মামলা এবং নৈরাজ্যের শিকার।
সঞ্জয় বলেন, ‘ভুয়া ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ৯টি কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেন এমপি। যার মধ্যে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে চাকরি নিয়েছেন এমপির ভাইয়ের স্ত্রী।
‘এই অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে পঙ্কজ নাথের ভাইয়ের স্ত্রী কল্যাণী দেবনাথ ও বিদ্যানন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল মিয়াসহ ৪১ জনকে আসামি করে ২০১৭ সালের ৫ মার্চ দুর্নীতি দমন আইনে একটি মামলা করি। তার তদন্ত চলছে। ’
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল পঙ্কজ নাথের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ওপর হামলা চালায়। এতে আমি আহত হই। এমনকি আমার বিরুদ্ধে মামলাও দেওয়া হয়। ওই মামলায় আমি ১৮ দিন জেলে ছিলাম। পরে ২০১৮ সালের ১২ জুন মেহেন্দিগঞ্জ নতুন ডাকবাংলোর ভিআইপি ১ নম্বর কক্ষে নিয়ে মারধর করা হয়। এরপর মৃত ভেবে নদীতে ফেলে দেয় তার সন্ত্রাসীরা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বর্তমান সরকারের আমলে পঙ্কজ দেবনাথ ও তার স্বজনেরা বিভিন্নভাবে মানুষের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া টেন্ডারবাজি, গোডাউন সিন্ডিকেট, জেলা পরিষদের ঘাট দখলেও জড়িত রয়েছেন তারা।
এসব অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এমপি পঙ্কজ দেবনাথ বাংলানিউজকে বলেন, গত ৬ বছর ধরে এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বহুবার সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। যা একটি বিশেষ মহলের ইন্দনে করা হচ্ছে। যাকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করাচ্ছে, সে কিভাবে রেস্তোরাঁ ভাড়া নিলো, কোথায় টাকা পেলো এগুলোও খতিয়ে দেখা উচিত।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে মেহেন্দিগঞ্জের কোন ঘাটে ক্ষেতমজুর বা চাষিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। আমার জানামতে মেহেন্দিগঞ্জের কোনো ঘাটে কাউকে টাকা দিতে হয় না।
‘আর সম্পদ, তা তো যে কারোরই থাকতে পারে। তবে দেখতে হবে আমার যেটা আছে সেটা আইনসিদ্ধ কিনা, বৈধ কিনা, আয়ের বিনিয়োগটা সাদা কিনা। আর আমি যে আয়কর দিই সেখানে উল্লেখিত হিসাবের সঙ্গে সবকিছু ঠিক আছে কিনা- তাই দেখার বিষয়। ’
পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল বিশেষ বিশেষ সময়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। শুধু সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই এ মিথ্যাচার। আমি আপার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলবো, তাকে বিষয়টি জানাবো। তিনি যদি বলেন, তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এমএস/এমএ