মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে দশম কংগ্রেস শেষে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কমরেড বাদশা বলেন, গত কংগ্রেসে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট হলেও এবার আরও ১৬ জন যুক্ত করে ৯১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, ১৫ সদস্যের পলিটব্যুরোর কমিটিতে নতুন পাঁচজন যুক্ত হয়েছেন। পলিটব্যুরো সদস্য হিসেবে যুক্ত হওয়া নতুন পাঁচজন হলেন- জ্যোতি সরকার, নজরুল ইসলাম হাক্কানী, আলি আহমেদ এনামুল হক, নজরুল হক নিলু ও হাজী বশির উল্লাহ।
দশম কংগ্রেস বর্জনের ঘোষণা দেওয়া পলিটব্যুরোর সদস্যসহ কেন্দ্রীয় কমিটির ছয় সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তারা যদি পুনরায় পার্টিতে ফিরতে চান তবে পার্টির সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী পারবেন।
কংগ্রেসে সর্বসম্মতভাবে আগামীতে যেকোনো ধরনের জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টির নিজস্ব প্রতীক হাতুড়ি নিয়ে নির্বাচন করার প্রস্তাব গৃহীত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কমরেড বাদশা আরও বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির নবম কংগ্রেসে কৌশলগত ও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যতদিন অভিযান পরিচালনা করবেন আমরা ওয়ার্কার্স পার্টি ততদিন তার সঙ্গে থাকবো। সেক্ষেত্রে ওয়ার্কার্স পার্টি নিজস্ব রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক শক্তির উপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের অপরাপর বাম রাজনৈতিক দল যারা অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চা করে তাদের সঙ্গেও আমাদের ঐক্যের হাত বাড়িয়ে দেবো। একই সঙ্গে সামাজিক সংগঠনগুলোকে আমরা আহ্বান জানাবো অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
আরকেআর/এএ