বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আবু সুফিয়ান চঞ্চলের পদত্যাগের বিষয়টি জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবিব।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিকদের বলেন, গত মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র পেয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে কল রিসিভ হয়নি।
শাখা ছাত্রলীগের সভপাতি জুয়েল রানা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, কেন্দ্রও আমাকে কিছু জানায়নি। ’
আগস্টের ২৮ তারিখ থেকেই ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছিলেন চঞ্চল। তখন থেকে শাখা ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়নি। ২৩ আগস্ট গণমাধ্যমে খবর বের হয়, ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম শাখা ছাত্রলীগকে ১ কোটি টাকা দিয়েছেন। যেখান থেকে চঞ্চল পেয়েছেন ২৫ লাখ টাকা। গণমাধ্যমের কাছে তখন চঞ্চল এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে ছাত্রলীগে চঞ্চলের বিরোধী গ্রুপ গণমাধ্যমে দাবি করে টাকা পেয়ে কাউকে যেন ভাগ দিতে না হয় সেজন্য লাপাত্তা হয়ে গেছে চঞ্চল। এর আগেও শাখা ছাত্রলীগ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ৬০ লাখ টাকা নিয়োগ বণিজ্য করার খবর বের হয় গণমাধ্যমে।
২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর জুয়েল রানাকে সভাপতি ও আবু সুফিয়ান চঞ্চলকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য শাখা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রায় দুই বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতে চলছে জাবি ছাত্রলীগ। নেতৃত্ব পাওয়ার ৩ বছরেও হল কমিটি ঘোষণা করতে পারেননি শাখা সভাপতি-সেক্রেটারি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
এইচএডি/