সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাঙ্গার বক্তব্যের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে নূর হোসেনের পরিবার।
অবস্থান কর্মসূচিতে মরিয়ম বিবি বলেন, নূর হোসেন আমার একার ছেলে না, সে জনগণের ছেলে।
অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার ছেলে বুকে-পিঠে লেখে রাজপথে নামলো দেশের জন্য, জনগণের জন্য। কীসের জন্য নামলো? ও কি পাগল ছিল, ওর কি জ্ঞান, বিচার ছিল না? আজ ৩০ বছর পরে ওরে নেশাখোর বলা হলো। আমি এ বিচারের দায়ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দিলাম। জনগণের কাছে তাকে (মসিউর রহমান রাঙ্গা) ক্ষমা চাইতে হবে।
আরও পড়ুন
** নূর হোসেনকে ‘মাদকাসক্ত’ বললেন রাঙ্গা
রাঙ্গার বিরুদ্ধে মামলা করবেন কি-না এ প্রশ্নের জবাবে মরিয়ম বলেন, আমি আমার ছেলেকে বলেছি, মামলা করা উচিত। আমি মামলা করতে রাজি আছি।
অবস্থান কর্মসূচিতে নূর হোসেনের ভাই আলী হোসেন বলেন, আমার ভাইকে দেশের জনগণ ভালোবাসে, শ্রদ্ধা জানায়। সে নূর হোসেনকে ‘ইয়াবাখোর’, ‘ফেনসিডিলখোর’ বলা হলো কেন? ৩৩ বছর আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আমাদের বাসায় গিয়ে আমার বাবার কাছে ক্ষমা চেয়ে এসেছিলেন। তিনি সংসদেও ক্ষমা চেয়েছিলেন। আমরা তো ক্ষমা করেই দিয়েছিলাম, কেন ৩৩ বছর পর আবার সে পুরোনো ক্ষতে আঘাত করা হলো?
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারাই বলেন, তখন কি দেশে ইয়াবা ছিল? ফেনসিডিল ছিল?
আলী হোসেন বলেন, নূর হোসেন দেশের জন্য, জনগণের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য আত্মাহুতি দিয়েছিল। সে জনগণের কাছেই আমরা বিচার চাই।
মামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিবারের সবাই এখনও বসি নাই। পরিবারের অন্য মুরুব্বিরা বসে সিদ্ধান্ত নেবো।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- নূর হোসেনের ভাই দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, বোন শাহানা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
রোববার (১০ নভেম্বর) জাপার মহানগর উত্তর শাখার আয়োজনে ‘গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাঙ্গা বলেন, নূর হোসেন ‘ইয়াবাখোর’, ‘ফেনসিডিলখোর’ ছিলেন।
এর পর থেকেই দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বইয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রাঙ্গার বিচার চায় সাধারণ জনগণ। তবে এ বিষয়ে রাঙ্গা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও মন্তব্য বা বিবৃতি দেননি।
** নেত্রকোণায় জাপা নেতাদের অবরুদ্ধ করে রাখার হুঁশিয়ারি
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
ডিএন/আরবি/