শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন হবে। সম্মেলনের উদ্বোধন ও প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১২ সালের ১১ জুলাই সংগঠনের সবশেষ কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি তিন বছর পর জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও এবার প্রায় সাড়ে সাত বছর পর এ সম্মেলন হতে যাচ্ছে।
এবারই প্রথম স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ছাড়াই জাতীয় সম্মেলন হতে যাচ্ছে। ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলার মধ্যেই বিভিন্ন অভিযোগে গত ২৩ অক্টোবর সভাপতির পদ থেকে অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর একদিন পরই সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথকে সম্মেলন কার্যত্রক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। শনিবারের সম্মেলনে এই দুই নেতাকে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি বলে জানা গেছে।
এদিকে সম্মেলন প্রস্তুতির জন্য একটি আহ্বায়ক কমিটি ও ১৩টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। এরইমধ্যে সম্মেলনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা আকৃতির বিশাল সম্মেলন মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এই মঞ্চেই আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের এ সম্মেলনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বর্ণিল সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ ৭৯টি সাংগঠনিক জেলার ১ হাজার ৯৭৫ জন কাউন্সিলর ও প্রায় ১৮ হাজার ডেলিগেট এবং ১৫ হাজার নেতাকর্মীসহ প্রায় ৩৫ হাজার লোক উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে দুপুর আড়াইটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এই অধিবেশনে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে সদ্যসমাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটিও ঘোষণার কথা রয়েছে। গত ১১ ও ১২ নভেম্বর এই দুইটি শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তখন নতুন কমিটি দেওয়া হয়নি।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের এ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি পদপ্রত্যাশী হিসাবে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতি, মঈন উদ্দিন মঈন, কাজী শহিদুল্লাহ লিটন, অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল ও নির্মল কুমার চ্যাটার্জী প্রমুখ। সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, খায়রুল হাসান জুয়েল, সুব্রত পুরকায়স্ত, আবদুল আলীম বেপারী, দপ্তর সম্পাদক সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটন ও সহ-পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক এম এ হারুন।
এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি পদপ্রত্যাশীরা হচ্ছেন- সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক, গোলাম রাব্বানী, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল ও ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি ইসহাক মিয়া। সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান পাপ্পু, আফরোজ হাবিব, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের তেজগাঁও থানা সভাপতি সর্দার আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদপুর থানা সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বাবু।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি পদে আলোচনায় আছেন সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান টিটু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীরা হচ্ছেন- বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুবামা ইয়াসমীন নহর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মির্জা মোরশেদুল আলম মিলন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, আসাদুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান রানা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
এসকে/জেডএস