নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এ মূল্য বাড়ার ঘটনা শুধু সরকার আর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ইঁদুর-বিড়াল খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে কিছু বলার থাকতো না। কিন্তু এ মূল্য বাড়ার ঘটনা জনজীবনে শোচনীয় পরিণতি ডেকে আনছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে দলের প্রধান কার্যালয় ১১৬/২ বক্স কালভার্ট রোড পল্টনে, দলীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়ার কারণ ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।
নেতারা আরও বলেন, ৩০ টাকার পেঁয়াজ সেঞ্চুরি থেকে ডাবল হাঁকিয়ে যখন ট্রিপল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে এ রকম সময়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর ‘পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আছে’ মন্তব্য কেবল শুধু হাস্যকরই নয়, দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতারও পরিচয় বটে। সারাবিশ্বে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক থাকলেও আমাদের দেশে পেঁয়াজের এ রকম অস্বাভাবিক মূল্য বাড়ার ঘটনা গোটা জাতিকে হতবাক করেছে। বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের দায়িত্বশীল মন্ত্রী এ রকম পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করতেন। ভারত রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে শীর্ষ পেঁয়াজ আমদানিকারকদের চিহ্নিত করে তাদের নামে-বেনামে থাকা গুদাম তল্লাশির মাধ্যমে এ সিন্ডিকেট ভেঙে জনগণকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ করে দিন। অতি মুনাফা লোভীদের এ দৌরাত্ম এখনই সমূলে উৎপাটন সম্ভব না হলে দেশে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের মতো ভয়াবহ আরেকটি দুর্ভিক্ষের আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন, দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, কাজী এ এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, দফতর সম্পাদক খোন্দকার জিল্লুর রহমান, মামুনুর রশীদ, মো. নূর আলম, মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/