বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল মোড় এলাকা থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রোত ১০টার দিকে সংঘর্ষ থেমে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পর জিয়া হল মোড়ে ল্যান্ড ‘ল’ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রিজভী আহমেদ ওশান হেঁটে যাওয়ার সময় তাকে ডাক দেন লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ঝিনুক, আলাল ইবনে জয় এবং চঞ্চু চাকমা।
এসময় ওশানকে তারা সিনিয়রদের সঙ্গে কেন খারাপ আচরণ করে তা জানতে চান। একপর্যায়ে তারা ওশানকে চড়-থাপ্পড় মারে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরে ওশান জিয়া মোড়ে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঝিনুক, আলাল ইবনে জয় এবং চঞ্চু চাকামার ওপর হামলা করে।
একপর্যায়ে সেখানে বেশ জটলা সৃষ্টি হলে উভয় গ্রুপের কর্মীরা বাঁশ ও লাঠিসোটা নিয়ে কয়েক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ৮ জন কর্মী আহত হন। পরে আহতদের মধ্যে সাত জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়।
এরপর সেখানে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা কেন্দ্রের দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক খুরশিদা জাহান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের আবাসিক হল এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি শোনা মাত্র আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। উভয় গ্রুপকে স্ব-স্ব হলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থাকবো। আশা করছি নতুন করে কোনো সমস্যা তৈরি হবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ০০০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
আরএ